দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে ৮০২ জন নির্বাহী হাকিম এবং অনিয়ম রোধে আরও ৩০০ বিচারিক হাকিম মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকেই মাঠে নামলো। ভোটের আগে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাহী হাকিমরা দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সঙ্গে ভোটের দু’দিন আগে থেকে ভোটের দিন ও ভোটের পরদিন পর্যন্ত (৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) ৫ দিনের জন্য থাকবেন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা। এরমধ্যে নির্বাহী হাকিমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে থাকবেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে নির্বাচনের আগে বরাবরের মতো দ্বাদশ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রাখার কথা এরই মধ্যে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্বাহী হাকিমরা প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দু’জন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দু’জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয় জন, গাজীপুর সিটিতে চার জন, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত থাকবেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর থার্ড জেন্ডার ভোটার সংখ্যা ৮৫২।