কুমিল্লার কাছে পাত্তাই পেল না সাকিব-গেইলদের বরিশাল

স্পোর্টস ডেস্ক।।

যে দলে ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্র্যাভো এবং সাকিব আল হাসানদের মতো টি-টোয়েন্টির সুপারস্টাররা আছেন, সেই দলের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা যে বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু চলতি বিপিএলে তাদের দাপটের দেখা মিলছে সামান্যই।

সর্বশেষ কুমিল্লা ভিক্টোয়ান্সের বিপক্ষে তো পাত্তাই পেল সাকিবের বরিশাল ফরচুন। চলতি বিপিএলের অষ্টম ম্যাচে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লার মঙ্গলবার ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বরিশাল।

শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল কুমিল্লা। জবাবে নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিঝড়ের সামনে পড়ে ১৭.৩ ওভারে ৯৫ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল।

এই নিয়ে তিন ম্যাচে ২ হার দেখা বরিশাল পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ২ জয় নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে কুমিল্লা।

দুইয়ে নেমে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার ছুড়ে দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি বরিশাল। কোনো রান তোলার আগেই তারা ওপেনার সৈকত আলীর উইকেট হারায়। এরপর দলকে ৭ রানে রেখে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব (১)। তিনে তৌহিদ হৃদয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করে করিম জানাতের বলে যখন বোল্ড হন তখন বরিশালের সংগ্রহ ৩৪ রান।

বরিশালের উইকেট পতনের মিছিল থামাতে পারেননি গেইলও। এই ক্যারিবীয় ‘ব্যাটিং দানব’ ৮ বলে ৭ রান করেই বিদায় নেন ক্যাচ তুলে দিয়ে। এরপর আশা জাগিয়েও বিদায় নেন নুরুল হাসান (১৭)। কিছুক্ষণ পর আরেক ক্যারিয়ান তারকা ব্র্যাভো ফেরেন শূন্য রানেই। এরপর একে একে একই পথে হাঁটেন জিয়াউর রহমান (০), জেক লিন্টট (৮) এবং নাঈম হাসান (০)। শেষ উইকেট হিসেবে ফেরার আগে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর নামের পাশে যোগ হয় ৪৭ বলে ৩৬ রান।

বল হাতে কুমিল্লার নাহিদুল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম এবং করিম জানাত। বাকি উইকেট মোস্তাফিজুর রহমানের।

এর আগে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিজাদু ও ডোয়াইন ব্র্যাভোর মিডিয়াম পেস সামলে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও জয়ের ব্যাটে ভালো শুরু পায় কুমিল্লা। কিন্তু নাঈম হাসানের বলে দলীয় ৩৩ রানে ডেলপোর্টের ব্যাটের কানায় লেগে বল উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে জমা হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর কুমিল্লার সবচেয়ে বড় ভরসা ফাফ ডু প্লেসিকে (৬) দ্রুত বিদায় করেন সাকিব আল হাসান।

ডু প্লেসি বিদায় নেওয়ার পড় কুমিল্লার রানের চাকার গতি কমে যায়। সেই চাপে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১১ বলে ১৫ রান করে শিকার হন ডোয়াইন ব্র্যাভোর। ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের লাফিয়ে উঠা বল ইমরুলের ব্যাটের কানায় লেগে সোহানের গ্লাভসে জমা হয়। তবে জয় তখন একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখেন।

দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা জয় একসময় ফিফটির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু জেক লিন্টটের বলে ক্রিস গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩৫ বলের মোকাবিলায় ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। এরপর ২ রান যোগ হতেই সাকিবের বলে বিদায় নেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ২৩ বলে ১৭ রান করার পথে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি এই বাঁহাতি।

১১৭ রানে ৫ উইকেট হারানো কুমিল্লাকে এরপর ১৫০ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেন আফগান ব্যাটার করিম জানাত। মাঝে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৮ রানে এবং নাহিদুল ইসলাম শূন্য রানেই ফেরেন। ১৮তম ওভারে পরপর দুই বলে দুজনকে বিদায় করেন ব্র্যাভো। তবে জানাত ১৬ বলে ১ চার ও ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ান। সঙ্গী শহিদুল ইসলাম ৫ বলে ৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে সাকিব ৪ ওভারে ২৫ রান খরচে নেন ২ উইকেট। সমান ওভারে ৩ উইকেট নিলেও ব্র্যাভো খরচ করেন ৩০ রান। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন নাঈম ও লিন্টট।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!