কুমিল্লায় বখাটের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেও রক্ষা পায়নি কলেজ ছাত্রী

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লায় বখাটের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেও তাদের হয়রানী এবং মারধর থেকে বাঁচতে পারেনি আকলিমা আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রী। মেসেঞ্জার, ইমু এবং হোয়াটসআ্যাপে নানা ধরনের অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে উত্যক্ত করার জেরে মেহেদি হাসান রিয়াদ নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই কলেজ ছাত্রী। মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়।

এতে ক্ষুব্দ হয়ে মেহেদী হাসান রিয়াদের নেতৃত্বে একদল বখাটে ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলায় তার বোন ফুফুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ছাড়া ঘরের আসবাবপত্রও ভাংচুর করা হয়।

শনিবার বিকেলে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কলেজ ছাত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। আকলিমা আক্তার (২২) কুমিল্লা সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী এবং জেলার বুড়িচং উপজেলার ফরিজপুর গ্রামের হাজী শহিদুল্লার মেয়ে। মেহেদী হাসান রিয়াদ(২৫)পাশর্^বর্তী শমেষপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

ভ‚ক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমরা ছয় বোন, আমার কোন ভাই নাই, পরিবারের সর্বকনিষ্ট সন্তান আমি। মেহেদী হাসান রিয়াদ সম্পর্কে আমার চাচাতো বোনের জামাই। চাচার পরিবারের সাথে আমাদের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে রিয়াদ আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে নানাভাবে হয়রানী এবং হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছিল।

এ ছাড়া আমাকে মেসেঞ্জার ইমু এবং হোয়াটসআ্যাপে নানা অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে উত্যক্ত করতো। এসব তথ্য প্রমানসহ গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর আমি রিয়াদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতের নির্দেশে বুড়িচং থানায় মামলাটি এফআইআর ভ‚ক্ত করা হয়।

পরে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করে পুলিশ। এরই মাঝে মামলা তুলে নিতে আমাকে দফায় দফায় প্রাননাশের হুমকি প্রদান করা হয়। সম্প্রতি এ মামলায় রিয়াদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এতে ক্ষুব্দ গত ১৫ মার্চ রিয়াদ একদল বখাটে নিয়ে আমাদের ঘরে এসে হামলা চালায়। আমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ছাড়া আমার বোন ফুফুসহ কয়েকজনকে জখম করা হয়। বাসায় আমাদের বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে হামলাকারীদের একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গেলেও ঘটনায় জড়িতদেরকে আটক করতে পারেনি। আমি এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও প্রভাবশালী রিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। কুপিয়ে জখমের পর উল্টো থানায় গিয়ে আমার নামেসহ বাবা চাচাকে আসামী করে একটি মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। আমাদেরকে অসহায় পেয়ে তারা চরমভাবে হয়রানী এবং নির্যাতন করছে। আমি প্রশাসনিক কোন সহায়তা পাচ্ছি না।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেদি হাসান রিয়াদ বলেন, আকলিমা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে হয়রানী করছে, হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে রিয়াদ বলেন, ওইদিন দুই পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, কলেজ ছাত্রী আকলিমার দায়ের করা একটি মামলা সিআইডি তদন্ত করছে, তার উপরে হামলার বিষয়ে আমি অবগত নই, কোন ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযোগ দিলে আমি অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!