০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস কারাগারে

  • তারিখ : ১২:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 598

অনলাইন ডেস্ক ।।

অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া ওরফে সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বেলা তিনটায় তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার সালমানপুর ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদী হয়ে ওই দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০১৫ সালের ৩০ জুন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৯ আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাঁকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আজ দুপুরে ইলিয়াস কুমিল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর পর তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, ইলিয়াস কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তারের আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এর পর আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াসকে কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

ইলিয়াসের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। ২০১৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পান তিনি। এক বছর মেয়াদি ওই কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হলেও চলতি বছরের ৬ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে। এরপর ইলিয়াস হল ছাড়েন। তাঁকে আর ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি।

ইলিয়াস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৫ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে একা একটি কক্ষে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো

শেয়ার করুন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস কারাগারে

তারিখ : ১২:৩১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক ।।

অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া ওরফে সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বেলা তিনটায় তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার সালমানপুর ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদী হয়ে ওই দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০১৫ সালের ৩০ জুন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৯ আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাঁকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আজ দুপুরে ইলিয়াস কুমিল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর পর তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, ইলিয়াস কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তারের আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এর পর আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াসকে কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

ইলিয়াসের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। ২০১৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পান তিনি। এক বছর মেয়াদি ওই কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হলেও চলতি বছরের ৬ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে। এরপর ইলিয়াস হল ছাড়েন। তাঁকে আর ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি।

ইলিয়াস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৫ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে একা একটি কক্ষে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো