০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭ জন, আক্রান্ত ৪১৪

  • তারিখ : ০৪:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
  • / 289

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এই বৈশ্বিক মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৭ জনে।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত চার হাজার ১৮৬ জন।

তিনি বলেন, এ সময়ে আরোগ্য লাভ করেছেন ১৬ জন। আর সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।

জাহিদ মালেক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরেও অনেক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রথম ৪৫ দিনের অবস্থান অনেক ভালো বলেও জানালেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা তিন শতাধিক।

যারা ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন বা আগামীতে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলে জানান তিনি।

ভিআইপিদের জন্য আলাদা কোনো হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসা স্বাভাবিক আছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর খবর দেয় আইইডিসিআর। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়।

১৮ মার্চ থেকে এক-দুই-তিন দিন পর পর মৃত্যুর খবর দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৩ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর দিয়ে আসছে তারা। এরই মধ্যে ১৭ এপ্রিল ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়। এটি ছিল একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু।

বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে তিন দশমিক ৪ শতাংশ মৃত্যুর হার। তবে কারও কারও ধারণা, এটি বাস্তব পরিস্থিতি নয়। আক্রান্তদের অনেকেই শনাক্ত হচ্ছেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বৈশ্বিকভাবে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ। যাদের বয়স বেশি, যারা আগে থেকে অন্য রোগে ভুগছেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি।

শেয়ার করুন

দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭ জন, আক্রান্ত ৪১৪

তারিখ : ০৪:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এই বৈশ্বিক মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৭ জনে।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত চার হাজার ১৮৬ জন।

তিনি বলেন, এ সময়ে আরোগ্য লাভ করেছেন ১৬ জন। আর সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।

জাহিদ মালেক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরেও অনেক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রথম ৪৫ দিনের অবস্থান অনেক ভালো বলেও জানালেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা তিন শতাধিক।

যারা ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন বা আগামীতে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলে জানান তিনি।

ভিআইপিদের জন্য আলাদা কোনো হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসা স্বাভাবিক আছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর খবর দেয় আইইডিসিআর। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়।

১৮ মার্চ থেকে এক-দুই-তিন দিন পর পর মৃত্যুর খবর দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৩ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর দিয়ে আসছে তারা। এরই মধ্যে ১৭ এপ্রিল ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়। এটি ছিল একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু।

বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে তিন দশমিক ৪ শতাংশ মৃত্যুর হার। তবে কারও কারও ধারণা, এটি বাস্তব পরিস্থিতি নয়। আক্রান্তদের অনেকেই শনাক্ত হচ্ছেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বৈশ্বিকভাবে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ। যাদের বয়স বেশি, যারা আগে থেকে অন্য রোগে ভুগছেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি।