০২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ; সাইফুরের পর এবার অর্জুন লস্কর গ্রেফতার

  • তারিখ : ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 253

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমানের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে একই মামলার আসামি ধর্ষক অর্জুন লস্কর। রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মদনহাটা নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে রবিবার সকালে ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে ছাতক থানা পুলিশ গ্রেফতার করে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে। সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জ ও অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে।

সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে যায় হবিগঞ্জের মাধবপুর। সেখানে মদনহাটা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থা নিয়েছিল সে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান সনাক্ত করে রবিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার রাতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে নববিবাহিত এক দম্পতিকে তুলে নেয় ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রণিসহ কয়েকজন।

পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। পরে পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহতাবস্থায় স্ত্রীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ৬ ক্যাডারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের সাইফুর রহমানের রুম থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনেও একটি মামলা হয়।
গণধর্ষণের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসামি ধরতে মাঠে নামলেও তারা ছিল অধরা। শেষ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে ধরা পড়ে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান।

মামলার অন্য আসামীরা হলো শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।

এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
বিডি প্রতিদিন

শেয়ার করুন

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ; সাইফুরের পর এবার অর্জুন লস্কর গ্রেফতার

তারিখ : ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম আসামি ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমানের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে একই মামলার আসামি ধর্ষক অর্জুন লস্কর। রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মদনহাটা নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে রবিবার সকালে ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে ছাতক থানা পুলিশ গ্রেফতার করে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে। সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জ ও অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে।

সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে যায় হবিগঞ্জের মাধবপুর। সেখানে মদনহাটা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থা নিয়েছিল সে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান সনাক্ত করে রবিবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার রাতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে নববিবাহিত এক দম্পতিকে তুলে নেয় ছাত্রলীগ ক্যাডার এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রণিসহ কয়েকজন।

পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। পরে পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহতাবস্থায় স্ত্রীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ৬ ক্যাডারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের সাইফুর রহমানের রুম থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনেও একটি মামলা হয়।
গণধর্ষণের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসামি ধরতে মাঠে নামলেও তারা ছিল অধরা। শেষ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে ধরা পড়ে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান।

মামলার অন্য আসামীরা হলো শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।

এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
বিডি প্রতিদিন