কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দুই চিকিৎসককে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখেন রোগীর স্বজনরা। রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেলে নওয়াব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডের অপারেশন থিয়েটারে এক প্রসূতির সন্তান প্রসব করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাকিবুর রহমানের স্ত্রী সায়মা সুলতানা প্রসব ব্যথা নিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের নওয়াব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। রোগীর সব কিছু নরমাল থাকায় তাকে নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। এক পর্যায়ে ছেলে সন্তান প্রসব হয়। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার টাওয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের বাগবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে স্বজনরা দুই চিকিৎসককে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
রোগীর স্বজনদের দাবি, দায়িত্বরত চিকিৎসকদের বার বার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডেলিভারির কথা বলা হলেও রোগীকে দেরি করে ডেলিভারির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এতে জটিলতা তৈরি দেখা দিলে আঘাতপ্রাপ্ত শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। পরে নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার টাওয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহমিদা মহসিন কলি বলেন, রোগীর সবকিছু নরমাল ছিল। তার স্বজনদের কথা মতো নরমাল ডেলিভারির জন্য আমরা চেষ্টা করি। তার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজুর মোর্শেদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। প্রকৃত ঘটনা জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।