০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

‘সেবা করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছি, মরলেও আফসোস থাকবে না’

  • তারিখ : ০৯:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
  • / 866

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০ জনে। এসময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছেন আরও ২১৯ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩১ জনে।

দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন ও মারা যাওয়া ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন নারী চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নিজেকে না লুকিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাহসী স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি, যা ইতোমধ্যে ভাইরাল।

বর্তমানে ওই চিকিৎসক ময়মনসিংহে স্বামীর সঙ্গে অবস্থান করছেন। তার স্বামীও একজন ডাক্তার। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত। সেখানেই তিনি আইসোলেশনে আছেন।

ওই নারী চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সবাই বলছে কাউকে বলো না। কেন বলব না? আমি তো কোনো দোষ করি নাই। আমি আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। লকডাউনে যখন আপনারা বাড়িতে বসে সময় কিভাবে কাটাবেন তা নিয়ে দুশ্চিতাগ্রস্ত ছিলেন তখন আমি হয়তো কোনো কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে।হ্যা আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। এতে আমার কোনো লজ্জা বা ভয় বা আফসোস নাই। বরং আমি খুব গর্বিত। কারণ আমি শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে এসেছি। এখন যদি মরেও যাই আমার আফসোস থাকবে না। কারণ আমি ডাক্তার হিসেবে যে শপথ নিয়েছিলাম তা পালন করে এসেছি। আমি যতদিন পেরেছি আপনাদের জন্যে হাসপাতালে এবং মাঠে কাজ করেছি।

যেদিন আমার মনে হল আমার নিজেরই স্যাম্পল পাঠানো দরকার, আমি সাথে সাথে স্যাম্পল পাঠিয়ে নিজেকে কোয়ারেন্টাইনড করেছি। আমার পক্ষে যতদূর সম্ভব মানুষ এড়িয়ে চলেছি। নিজের বাড়িতেও ফিরিনি যেহেতু আমারও পরিবার আছে, বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন। তারপরও আজ আমার এলাকার মানুষের কাছে (ময়মনসিংহের যে এলাকায় ভাড়া থাকি) যে ব্যবহার পেয়েছি আমি ও আমার স্বামী তা আমি কোনোদিন ভুলব না।

একটা কথা বলে যাই…নগর পুড়লে কি দেবালয় এড়ায়? আগামী বছর বেঁচে থাকলে এই স্মৃতিটা ভেসে উঠবে ফেবুর পাতায়। শুভ নববর্ষ, ১৪২৭! সবার মঙ্গল হোক।’

বিডি-প্রতিদিন

শেয়ার করুন

‘সেবা করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছি, মরলেও আফসোস থাকবে না’

তারিখ : ০৯:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০ জনে। এসময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছেন আরও ২১৯ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩১ জনে।

দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন ও মারা যাওয়া ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন নারী চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নিজেকে না লুকিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাহসী স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি, যা ইতোমধ্যে ভাইরাল।

বর্তমানে ওই চিকিৎসক ময়মনসিংহে স্বামীর সঙ্গে অবস্থান করছেন। তার স্বামীও একজন ডাক্তার। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত। সেখানেই তিনি আইসোলেশনে আছেন।

ওই নারী চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সবাই বলছে কাউকে বলো না। কেন বলব না? আমি তো কোনো দোষ করি নাই। আমি আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। লকডাউনে যখন আপনারা বাড়িতে বসে সময় কিভাবে কাটাবেন তা নিয়ে দুশ্চিতাগ্রস্ত ছিলেন তখন আমি হয়তো কোনো কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে।হ্যা আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। এতে আমার কোনো লজ্জা বা ভয় বা আফসোস নাই। বরং আমি খুব গর্বিত। কারণ আমি শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে এসেছি। এখন যদি মরেও যাই আমার আফসোস থাকবে না। কারণ আমি ডাক্তার হিসেবে যে শপথ নিয়েছিলাম তা পালন করে এসেছি। আমি যতদিন পেরেছি আপনাদের জন্যে হাসপাতালে এবং মাঠে কাজ করেছি।

যেদিন আমার মনে হল আমার নিজেরই স্যাম্পল পাঠানো দরকার, আমি সাথে সাথে স্যাম্পল পাঠিয়ে নিজেকে কোয়ারেন্টাইনড করেছি। আমার পক্ষে যতদূর সম্ভব মানুষ এড়িয়ে চলেছি। নিজের বাড়িতেও ফিরিনি যেহেতু আমারও পরিবার আছে, বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন। তারপরও আজ আমার এলাকার মানুষের কাছে (ময়মনসিংহের যে এলাকায় ভাড়া থাকি) যে ব্যবহার পেয়েছি আমি ও আমার স্বামী তা আমি কোনোদিন ভুলব না।

একটা কথা বলে যাই…নগর পুড়লে কি দেবালয় এড়ায়? আগামী বছর বেঁচে থাকলে এই স্মৃতিটা ভেসে উঠবে ফেবুর পাতায়। শুভ নববর্ষ, ১৪২৭! সবার মঙ্গল হোক।’

বিডি-প্রতিদিন