০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঘরের তালা ভেঙে চুরি

আবারও ডেঙ্গুর আশংকা, রাজধানীর ১১ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ

  • তারিখ : ০৭:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 968

এখনই জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ বছরও রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ার শংকা রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ১১টি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিচালিত ‘এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির’ ডেঙ্গু মৌসুম পরবর্তী জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা.আফসানা আলমগীর খান। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২, ১৬, ২৮, ৩১ ও ১ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো সূচক মিলেছে ২০ পয়েন্টের বেশি। উত্তরের শুধু ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এই সূচক মান ৩০। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১২ শতাংশ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০ শতাংশ ওয়ার্ডে এইডিসের ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি রয়েছে বলে জরিপে ওঠে এসেছে।

মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে। জরিপে প্রতি একশ’ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা হয়ে থাকে। উত্তরে ৪১টি ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এ বছরও ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটতে পারে। বিশেষ করে প্রজননক্ষেত্র যদি স্বমূলে ধ্বংস না করা যায়।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৭ সালের তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বর্ষা পরবর্তী জরিপ হয়নি। তবে সবগুলো ইনডেক্সেই ২০১৭ সালের চেয়ে এবার ব্রুটো ইনডেক্স ইতিবাচক। মশার উপস্থিতি, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা আগের বছরের তুলনায় কম পেয়েছি।

মশা নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজনন উৎসে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যদি পানি জমতে দেয়া না হয় তাহলে মশার লার্ভাই হতে পারবে না। মশার উৎস ধ্বংস না করা হলে শুধু লার্ভিসাইডিং করে মশা কমানো যাবে না। নাগরিকদের এ সব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহলীনা ফেরদৌসী, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

আবারও ডেঙ্গুর আশংকা, রাজধানীর ১১ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ

তারিখ : ০৭:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

এখনই জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ বছরও রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ার শংকা রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ১১টি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিচালিত ‘এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির’ ডেঙ্গু মৌসুম পরবর্তী জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা.আফসানা আলমগীর খান। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২, ১৬, ২৮, ৩১ ও ১ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে এডিসের ব্রুটো সূচক মিলেছে ২০ পয়েন্টের বেশি। উত্তরের শুধু ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এই সূচক মান ৩০। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১২ শতাংশ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০ শতাংশ ওয়ার্ডে এইডিসের ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি রয়েছে বলে জরিপে ওঠে এসেছে।

মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে। জরিপে প্রতি একশ’ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা হয়ে থাকে। উত্তরে ৪১টি ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এ বছরও ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটতে পারে। বিশেষ করে প্রজননক্ষেত্র যদি স্বমূলে ধ্বংস না করা যায়।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৭ সালের তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বর্ষা পরবর্তী জরিপ হয়নি। তবে সবগুলো ইনডেক্সেই ২০১৭ সালের চেয়ে এবার ব্রুটো ইনডেক্স ইতিবাচক। মশার উপস্থিতি, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা আগের বছরের তুলনায় কম পেয়েছি।

মশা নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজনন উৎসে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যদি পানি জমতে দেয়া না হয় তাহলে মশার লার্ভাই হতে পারবে না। মশার উৎস ধ্বংস না করা হলে শুধু লার্ভিসাইডিং করে মশা কমানো যাবে না। নাগরিকদের এ সব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহলীনা ফেরদৌসী, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।