আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি, গর্ভবতী নারীকে বিবস্ত্রকরে ভিডিও ধারন ও ধর্ষণ মামলার ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে বাঙ্গরা থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় ডাকাতি হওয়া মোবাইল ফোন এবং ঘটনায় ব্যবহৃত একাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃত আসামীরা হলেন বাঙ্গরাবাজার থানাধীন গাজীপুর গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (২৩), একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩৭) ও মৃত জীবন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান টুকু (১৯)।
পুলিশ জানা যায়, গত ২৪/০৯/২০২২ ইং তারিখে মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ধীনেষ চন্দ্র ও সংগীয় ফোর্সের নিরলস প্রচেষ্টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার ও ঘটনায় ব্যবহত দা, সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন আটককৃত আসামীরা প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আসামীদের কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ উপজেলার চাপিতলা গ্রামে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টায় ৮/১০ জনের একটি দল মা ও ছোট সন্তানকে মারধর করে হাত-পা বেধে মুখে স্ক্রচট্যাপ লাগিয়ে তার গর্ভবতী কন্যাকে পাশের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করা হয়। তখন মেয়েটির গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য পেটে লাথি মেরে আহত করে।
ঘটনার পরদিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও প্রকৃত সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সাধারণ চুরির অভিযোগ নিয়ে সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে ঘটনার প্রধান আসামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এসআই ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে এলে ঘটনা তদন্ত করে ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমান পেয়ে ৩ পুলিশ সদস্যকে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে ক্লোজড করা হয়।