০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঘরের তালা ভেঙে চুরি ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে- উদবাতুল বারী আবু কুমিল্লায় যৌথ অভিযানে রিভলবার-এলজি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪ কুমিল্লা সদর দক্ষিণে মাদক ব্যবসায়ী বিল্লালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার 

ট্রেনে চড়ে গরু এলো ঢাকায়

  • তারিখ : ১২:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / 380

১৩ বছর পর আবারও ট্রেনে পশু পরিবহন শুরু হয়েছে। প্রথম যাত্রায় জামালপুরের ইসলামপুর থেকে গতকাল সকালে ২৬১টি গরু ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। গরুপ্রতি ভাড়া পড়েছে ৫০০ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট থেকে সাতটি কোরবানির পশুবাহী ট্রেন পরিচালনা করেছিল রেলওয়ে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, পশ্চিমাঞ্চলের ওয়াগন না চললেও গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থেকে ২৩০ ও মেলান্দহ থেকে ৩১টি গরু নিয়ে যাত্রা করে ‘ক্যাটাল স্পেশাল’। মিটারগেজ ১৭ ওয়াগনের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১৬টি গরু। খামারিদের সুবিধার্থে ওয়াগনের শেষে যুক্ত করা হয় একটি যাত্রীবাহী বগি। জয়দেবপুর, তেজগাঁওয়ে কিছু গরু নামিয়ে বাকিগুলো নিয়ে কমলাপুরের ৮ নম্বর প্ল্যাটফরমে আসে ওয়াগনটি। করোনার কারণে ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চলছে রেল। ঈদযাত্রায় সারা দেশে মাত্র ১৭টি আন্তনগর ট্রেন চলছে। করোনাকালে কৃষকের সুবিধায় এর আগে কৃষিপণ্য ও আমবাহী পার্সেল ট্রেন চালু করেছিল রেলওয়ে।

ঈদুল আজহায় খামারিদের সুবিধায় ৭ জুলাই কোরবানির পশুবাহী ওয়াগন পরিচালনার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোরবানি উপলক্ষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেনে করে পশু পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় ট্রেন পরিচালনা করতে পারছিল না রেলওয়ে। ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, সড়কপথের তুলনায় কম খরচ রেলে। জামালপুর থেকে ট্রাকে গরুপ্রতি দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। রেলে খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। ট্রাকে তাদের বসার ও বিশ্রামের জায়গা থাকে না, যানজটে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে গরু ভিজে যায়। পথে ট্রাক দুর্ঘটনার ভয় থাকে। কিন্তু রেলে এসব ঝামেলা পোহাতে হয়নি
উল্লেখ্য, আগে রেলওয়ে আম পরিবহনে ম্যাংগো স্পেশাল নামে ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে পরিচালনা করেছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা সহজেই ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে খুবই অল্প ভাড়ায় আম পরিবহন করেছিলেন।

শেয়ার করুন

ট্রেনে চড়ে গরু এলো ঢাকায়

তারিখ : ১২:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

১৩ বছর পর আবারও ট্রেনে পশু পরিবহন শুরু হয়েছে। প্রথম যাত্রায় জামালপুরের ইসলামপুর থেকে গতকাল সকালে ২৬১টি গরু ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। গরুপ্রতি ভাড়া পড়েছে ৫০০ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট থেকে সাতটি কোরবানির পশুবাহী ট্রেন পরিচালনা করেছিল রেলওয়ে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, পশ্চিমাঞ্চলের ওয়াগন না চললেও গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থেকে ২৩০ ও মেলান্দহ থেকে ৩১টি গরু নিয়ে যাত্রা করে ‘ক্যাটাল স্পেশাল’। মিটারগেজ ১৭ ওয়াগনের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১৬টি গরু। খামারিদের সুবিধার্থে ওয়াগনের শেষে যুক্ত করা হয় একটি যাত্রীবাহী বগি। জয়দেবপুর, তেজগাঁওয়ে কিছু গরু নামিয়ে বাকিগুলো নিয়ে কমলাপুরের ৮ নম্বর প্ল্যাটফরমে আসে ওয়াগনটি। করোনার কারণে ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চলছে রেল। ঈদযাত্রায় সারা দেশে মাত্র ১৭টি আন্তনগর ট্রেন চলছে। করোনাকালে কৃষকের সুবিধায় এর আগে কৃষিপণ্য ও আমবাহী পার্সেল ট্রেন চালু করেছিল রেলওয়ে।

ঈদুল আজহায় খামারিদের সুবিধায় ৭ জুলাই কোরবানির পশুবাহী ওয়াগন পরিচালনার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোরবানি উপলক্ষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেনে করে পশু পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় ট্রেন পরিচালনা করতে পারছিল না রেলওয়ে। ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, সড়কপথের তুলনায় কম খরচ রেলে। জামালপুর থেকে ট্রাকে গরুপ্রতি দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। রেলে খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। ট্রাকে তাদের বসার ও বিশ্রামের জায়গা থাকে না, যানজটে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে গরু ভিজে যায়। পথে ট্রাক দুর্ঘটনার ভয় থাকে। কিন্তু রেলে এসব ঝামেলা পোহাতে হয়নি
উল্লেখ্য, আগে রেলওয়ে আম পরিবহনে ম্যাংগো স্পেশাল নামে ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে পরিচালনা করেছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা সহজেই ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে খুবই অল্প ভাড়ায় আম পরিবহন করেছিলেন।