কুমিল্লার চান্দিনায় কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার চান্দিনায় সালমা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে দাবী করছেন পুলিশ।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ পানিতে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। পরদিন শনিবার (২ অক্টোবর) সকালে পুকুর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সালমা আক্তার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সোলেমান ব্যাপারীর মেয়ে। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সালমা তৃতীয়। সে পাশ্ববর্তী বিল্লাল বাজার কওমী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- বসন্তপুর গ্রামের ভূইয়াপাড়ার গরু ব্যবসায়ী সোলেমান ব্যাপারী ও তার ভাতিজাদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ও মামলা চলছে। শনিবার সকালে একই বাড়ির জান্নাত নামের এক মেয়ে সোলেমান ব্যাপারীর ঘরের দরজা ও পিছনের টিন খোলা দেখে ঘরে ঢুকেন।

ওই ঘরে কাউকে দেখতে না পেয়ে সোলেমান ব্যাপারীকে ফোন করেন। তিনি বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চারদিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরবর্তীতে বাড়ি থেকে ৫শ গজ দূরে একটি পুকুরে মেয়ের ভাসমান মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন।

সোলেমান ব্যাপারী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ভাতিজাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তারা আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী মারধর করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। শুক্রবার আমি বাড়িতে গেলে তারা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি ঘর থেকে বের হলে তারা ১০-১২জন লোক আমার উপর হামলা করতে ঘিরে ফেলে।

আমি প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির আব্দুর রহমান এর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। এদিকে, ঘরে একাই ছিল আমার মেয়ে সালমা। রাতের অন্ধকারে তারা আমার মেয়েকে ঘর থেকে বের করে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ফেলে দেয়।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, শনিবার সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই হত্যাকান্ড ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!