মো. জাকির হোসেন :

কুমিল্লার ব্রা‏‏হ্মণপাড়ায় অষ্টম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষনের অভিযোগে মো. হাকিম ওরফে আদর  (১৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষনের শিকার হওয়া ওই শিশু শিক্ষার্থী মঙ্গলবার কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে দন্ডবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।  গ্রেপ্তার হওয়া মো. হাকিম ওরফে আদর কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার বড়ধুশিয়ার  গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।  আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশু শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মো. হাকিম ও ওরফে সোহাগ তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ) দুপুরে বিদ্যালয়ের অ্যাসাইনম্যান্টের খাতা জমা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে সে। রাস্তায় বের হয়ে আসলে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় আদর। তাকে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে।

গত সোমবার বিকালে আদর একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দিয়ে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ  ব্রা‏হ্মণপাড়ার হরিমঙ্গল বাজার এলাকায় তাকে আটক করে এবং অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মো. হাকিম ওরফে আদরের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে ব্রা‏হ্মণপাড়া থানায় অপহরন ও ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছে।  মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছাত্রী কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে দন্ডবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

আদালতকে ওই স্কুল ছাত্রী বলেছে, তাকে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আদর। গ্রেপ্তার হওয়া মো. হাকিমকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপহরণ ও ধর্ষনের মামলা হয়েছে। স্কুলছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সে আদালতকে জানিয়েছে, তাকে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে হাকিম ওরফে আদর। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।