আরিফ গাজী :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার মুরাদনগরের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মামুন ছিল তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। গত ৬ মাস আগে আত্মীয়দের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার-দেনা করে পরিবারকে সাবলম্বী করতে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। মামুনের মৃত্যুতে এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পরিবারের ভবিষ্যৎ।
নিহত মামুন মিয়া (২৮) জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আউয়াল মিয়ার ছেলে।
নিহত মামুনের বাবা আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি চাই আমার ছেলের লাশটা যেন আমরা পাই। ধার-দেনা করে ছেলেরে বিদেশ পাঠাইছিলাম সুখের মুখ দেখতে। এখন আমার সব শেষ।
নিহত মামুনের মামী তাসলিমা বেগম জানান, মামুন তার মামা ইয়ার হোসেন ও ভাগ্নে জাহিদুল ইসলামের সাথে বাসে করে ওমরাহ করার জন্য মক্কায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। এ ঘটনায় মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা নিশ্চত হই। পাশাপাশি তার সাথে থাকা মামা ইয়ার হোসেন ও ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী বলেন, খবর পেয়ে নিহত মামুনের বাড়িতে গিয়েছি। এ বিষয়ে আমি মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে রাসেল মোল্লার ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রেক্ষাপট: ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীদের মধ্যে ৩৫ বাংলাদেশি ছিলেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানায়, দুর্ঘটনাস্থলটি জেদ্দা থেকে আনুমানিক ৬০০ কিলোমিটার দূরে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন।
প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি রয়েছেন। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন কুমিল্লার। তারা হলেন জেলার মুরাদনগরের মামুন, রাসেল মোল্লা ও দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার এলাকার গিয়াস হামিদ