কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ কুমিল্লা উত্তর জেলার দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে চান্দিনা থানার অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস দাস বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন।
মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদসহ কুমিল্লা উত্তর জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির ৩৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৭০ জনকে।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার দড়ানিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখানে পুলিশি বাধায় স্থান ত্যাগ করে মহাসড়কের চান্দিনা-মুরাদনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোমতা এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানেও বাধা পেয়ে দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুটুম্বপুর-খাদঘর এলাকা থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী ‘পদযাত্রা’ শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ।
এদিকে দফায় দফায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ক্ষিপ্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা হঠাৎ পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। এতে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হন। তাদের কেউ রাবার বুলেটে, কেউ পুলিশের লাঠিপেটা আবার কেউবা কালভার্ট থেকে লাফিয়ে পড়ে ও পদদলিত হয়ে আহত হন।
চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান বলেন, সরকারি কাজে বাধা, মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহনের অপরাধে মামলাটি করা হয়েছে। আমরা আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।