০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজা নামাজে লাখো মানুষের ঢল

  • তারিখ : ১১:৫০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
  • / 930

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন তার মামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের পর হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।

এর আগে তার দাফন গ্রামের বাড়িতে নাকি হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় দাফন তার হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।পরে বৈঠক করে গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও এর আগে দাফনের কথা ছিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। ওই সময়ে হেফাজতের নায়েবে আমির সালাউদ্দিন নানুপুরী জানিয়েছিলেন, হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে।

প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে। পরে সিদ্ধান্ত হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে।এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়েছে জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে।

৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী।

বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শেয়ার করুন

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজা নামাজে লাখো মানুষের ঢল

তারিখ : ১১:৫০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন তার মামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের পর হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।

এর আগে তার দাফন গ্রামের বাড়িতে নাকি হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় দাফন তার হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।পরে বৈঠক করে গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও এর আগে দাফনের কথা ছিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। ওই সময়ে হেফাজতের নায়েবে আমির সালাউদ্দিন নানুপুরী জানিয়েছিলেন, হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে।

প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে। পরে সিদ্ধান্ত হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে।এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়েছে জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে।

৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী।

বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।