০১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কিছমত-হোসেনপুর সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

  • তারিখ : ০১:০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 772

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় কিছমত-হোসেনপুর সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। গত মার্চ মাসে ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ সমাপ্ত না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।

সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছমত-হোসেনপুর আঞ্চলিক সড়কটি উন্নয়নের জন্য গত বছর টেন্ডার আহবান করা হয়।
এরশাদ এন্ড সন্স নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই সড়কের কাজটি পেলেও প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ঠিকাদারের নিকট কাজটি বিক্রি করে দেয়। ২ হাজার ২’শ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২ ফুট প্রস্থের এই সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৭৮ হাজার ৫’শ ৭৯ টাকা। কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এই সড়কের নির্মাণকাজে ম্যাকাডাম (ইটের খোয়া) বিছানাতে পুরোনো ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়।

ঠিকাদারকে সতর্ক করার পরও সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় একাধিকবার কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। গত মার্চ মাসে ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ সমাপ্ত না হওয়া চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষকে।

বিজয়পুর ইউনিয়নের বেলতলী হয়ে কিছমত-হোসেনপুর সড়কটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে এই সড়কে চলাচল করে থাকে।

সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঠিকাদারকে সতর্ক করে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে বলে জানায় উপজেলা এলজিইডি অফিস।

এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনকে অবগত করানোর পরও সড়কের কাজের মান উন্নতি না হওয়ায় কিছুদিন আগে স্থানীয়রা সকলে মিলে কাজ বন্ধ করে দেই। এর কিছুদিন পর আবারো আগের নিয়মেই কাজ শুরু হয়। এমন খোয়া দিয়ে বানানো সড়ক বেশি দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজয়পুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মু.মোমিনুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারি টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। এছাড়াও কাজ শুরু করে দীর্ঘদিন যাবত ফেলে রাখায় চলাচলে মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ঠিকাদার রাজ্জাক প্রফেসরের ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রকৌশলী তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঠিকাদারের অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কিছমত-হোসেনপুর সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

তারিখ : ০১:০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় কিছমত-হোসেনপুর সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। গত মার্চ মাসে ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ সমাপ্ত না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।

সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছমত-হোসেনপুর আঞ্চলিক সড়কটি উন্নয়নের জন্য গত বছর টেন্ডার আহবান করা হয়।
এরশাদ এন্ড সন্স নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই সড়কের কাজটি পেলেও প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ঠিকাদারের নিকট কাজটি বিক্রি করে দেয়। ২ হাজার ২’শ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২ ফুট প্রস্থের এই সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৭৮ হাজার ৫’শ ৭৯ টাকা। কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এই সড়কের নির্মাণকাজে ম্যাকাডাম (ইটের খোয়া) বিছানাতে পুরোনো ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়।

ঠিকাদারকে সতর্ক করার পরও সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় একাধিকবার কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। গত মার্চ মাসে ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ সমাপ্ত না হওয়া চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষকে।

বিজয়পুর ইউনিয়নের বেলতলী হয়ে কিছমত-হোসেনপুর সড়কটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে এই সড়কে চলাচল করে থাকে।

সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঠিকাদারকে সতর্ক করে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে বলে জানায় উপজেলা এলজিইডি অফিস।

এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজনকে অবগত করানোর পরও সড়কের কাজের মান উন্নতি না হওয়ায় কিছুদিন আগে স্থানীয়রা সকলে মিলে কাজ বন্ধ করে দেই। এর কিছুদিন পর আবারো আগের নিয়মেই কাজ শুরু হয়। এমন খোয়া দিয়ে বানানো সড়ক বেশি দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজয়পুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মু.মোমিনুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারি টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না। এছাড়াও কাজ শুরু করে দীর্ঘদিন যাবত ফেলে রাখায় চলাচলে মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ঠিকাদার রাজ্জাক প্রফেসরের ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রকৌশলী তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঠিকাদারের অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।