বাইকের পেছনে নেমপ্লেটে লেখা ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অবশেষে ধরা খেলেন সেই আলোচিত বাইকার।
ওই বাইকারের নাম আবির। তিনি একজন চাকরিজীবী। বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে আবিরকে বাইকসহ আটক করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট।
এ সময় আবিরের কাছে বাইকের পেছনের নম্বর প্লেটে ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’ লেখার কারণ জানতে চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট জুয়েল বলেন, আমি তাকে আটকে বাইকের পেছনে লেমিনেটিং করা কাগজটি দেখতে পাই। তার কাছে কারণ জানতে চাই। উত্তরে তিনি বলেন, ইমরান তার একজন খুব ভালো বন্ধু। সে তাকে মোটরসাইকেল কেনা থেকে শুরু করে তাকে চালানো শিখিয়েছেন। তাই বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই তিনি নম্বরপ্লেটে এটি লাগিয়েছেন। এর বেশি কিছু নয়।
ট্রাফিক সার্জেন্ট জুয়েল বলেন, মোটরযানে নম্বরপ্লেটের স্থানে নম্বর ছাড়া কোনো অঙ্কন, নাম লেখা, খোদাই করা, ঘষামাজা করা, বিজ্ঞাপন দেয়া আইনে নিষিদ্ধ। মোটরযান আইনের ২০১৮-এর ৯২ (২) ধারায় এই অপরাধের জন্য এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে আবিরের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স, ইন্স্যুরেন্সসহ সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং অনুতপ্ত হয়েছেন। তাই তাকে কোনো মামলা না দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
নম্বরপ্লেটে ‘সার্জেন্ট ইমরান আমার বন্ধু’ লেখা মোটরসাইকেলটির ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে এটিকে মোটর সাইকেল চালকের দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল বললেও কেউ কেউ বিষয়টিকে রাজনৈতিক পরিচয় দেখানোর মতোই ‘স্টান্ট’ বলে উল্লেখ করেন।