১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

আমি তোমাকে পাইনি, লিখে ৮ম শ্রেণি ছাত্রের আত্মহত্যা

  • তারিখ : ০২:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
  • / 911

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চিরকুট লিখে ৮ম শ্রেণির ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম মো. আবদুল্লাহ।

মৃত্যুর আগে ছাত্র মো. আবদুল্লাহ চিরকুটে যা লিখে যায় তা হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি জানি তুমি সাদ, সিজানসহ আরও অনেক অনেক ছেলের সঙ্গে কথা বলো। কিন্তু আমি কিছু মনে করি না; কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি যখন যেটি চাও আমি তাই দিয়েছি। তোমার সাথে যারা দেহ দিয়ে প্রেম করেছে; তাদের সাথে তুমি কথা বলো। আর আমি মন দিয়ে প্রেম করেছি, তাই আমি তোমাকে পাইনি। আর তোমার জন্য আমি অনেক কাঁদি; পরশু দিনও অনেক কেঁদেছি। নাছিম বলে ওর চেয়ে অনেক ভালো মেয়ে পাবি; আমি বললাম না– আমি তোমাকে ছাড়া আমি মোরে যাব। ইতি তোমার ভালোবাসা।’

শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোমরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো আবদুল্লাহ ভাটাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে স্কুল মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে আর খেলার মাঠে যায়নি আবদুল্লাহ। সহপাঠীরা তাকে ডাকতে এসেছিল। তাকে না পেয়ে পড়ার ঘরে ছুটে যায় সহপাঠীরা। কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় আবদুল্লাহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। এর পর তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে আবদুল্লাহকে নামায়। এর পর কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা। ঘটনার দিন তিনি ছিলেন আবদুল্লাহর নানাবাড়িতে। আর বাবা আবদুল কুদ্দুস মালয়েশিয়া প্রবাসী। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনিও রোববার সকালে দেশে এসে ছেলের জানাজায় শরিক হন। এর পর বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

স্বজনরা জানান, আবদুল্লাহর মৃত্যুর কারণ জানতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সেই রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অধরাই থেকে যাচ্ছে তার মৃত্যুর রহস্য। তবে আবদুল্লাহর মৃত্যুর রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে তার নিজ হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটকে ঘিরে।

চিরকুটের ভাষা অনুযায়ী, এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই আবদুল্লাহ আত্মহত্যা করেছে। অথবা প্রেম সম্পর্কের জের ধরে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে মারধর করেছে এমন কথাও লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার এসআই কাজী আবুল খায়ের জানান, থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

আমি তোমাকে পাইনি, লিখে ৮ম শ্রেণি ছাত্রের আত্মহত্যা

তারিখ : ০২:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চিরকুট লিখে ৮ম শ্রেণির ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম মো. আবদুল্লাহ।

মৃত্যুর আগে ছাত্র মো. আবদুল্লাহ চিরকুটে যা লিখে যায় তা হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি জানি তুমি সাদ, সিজানসহ আরও অনেক অনেক ছেলের সঙ্গে কথা বলো। কিন্তু আমি কিছু মনে করি না; কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি যখন যেটি চাও আমি তাই দিয়েছি। তোমার সাথে যারা দেহ দিয়ে প্রেম করেছে; তাদের সাথে তুমি কথা বলো। আর আমি মন দিয়ে প্রেম করেছি, তাই আমি তোমাকে পাইনি। আর তোমার জন্য আমি অনেক কাঁদি; পরশু দিনও অনেক কেঁদেছি। নাছিম বলে ওর চেয়ে অনেক ভালো মেয়ে পাবি; আমি বললাম না– আমি তোমাকে ছাড়া আমি মোরে যাব। ইতি তোমার ভালোবাসা।’

শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোমরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো আবদুল্লাহ ভাটাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে স্কুল মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে আর খেলার মাঠে যায়নি আবদুল্লাহ। সহপাঠীরা তাকে ডাকতে এসেছিল। তাকে না পেয়ে পড়ার ঘরে ছুটে যায় সহপাঠীরা। কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় আবদুল্লাহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। এর পর তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে আবদুল্লাহকে নামায়। এর পর কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা। ঘটনার দিন তিনি ছিলেন আবদুল্লাহর নানাবাড়িতে। আর বাবা আবদুল কুদ্দুস মালয়েশিয়া প্রবাসী। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনিও রোববার সকালে দেশে এসে ছেলের জানাজায় শরিক হন। এর পর বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

স্বজনরা জানান, আবদুল্লাহর মৃত্যুর কারণ জানতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সেই রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অধরাই থেকে যাচ্ছে তার মৃত্যুর রহস্য। তবে আবদুল্লাহর মৃত্যুর রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে তার নিজ হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটকে ঘিরে।

চিরকুটের ভাষা অনুযায়ী, এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই আবদুল্লাহ আত্মহত্যা করেছে। অথবা প্রেম সম্পর্কের জের ধরে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে মারধর করেছে এমন কথাও লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার এসআই কাজী আবুল খায়ের জানান, থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছে না।