কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তকে বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মনিরুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে ওই আসনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রাণ গোপাল দত্তই ছিলেন। যে কারণে একক প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার আরও বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে প্রাণ গোপাল দত্তকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসন থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হবে।
প্রাণ গোপাল দত্ত ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চান্দিনা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
২০০৯ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদে (আট বছর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি।
প্রাণ গোপাল দত্ত বর্তমানে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি।
গত ৩০ জুলাই পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মৃত্যুতে কুমিল্লা-৭ আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে গত ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে জমা দেন চারজন।
১৪ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালেহ ছিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুর রেজা খোকন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। সর্বশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মনিরুল ইসলামও তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।