০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিলেন তরুণী!

  • তারিখ : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • / 515

পাবনা: বিয়ের দাবিতে নুরুল ইসলাম শাওন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে জনসম্মুখে গণধোলাই দিয়ে টেনে হিঁছড়ে থানায় নিলেন রুপা খাতুন নামে এক তরুণী।

তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন তারা। পরে বিয়ে না করেই নগদ অর্থ হাতিয়ে লাপাত্তা হন অভিযুক্ত শাওন।

বুধবার (২২ মার্চ) এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম শাওন ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে এবং ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী রুপা খাতুন ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী নাটোরের সিংড়া এলাকার মেয়ে এবং ঈশ্বরদী ইপিজেডের একজন কর্মী।

ভুক্তভোগী রুপা খাতুনের দাবি, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। এক পর্যায়ে দুজনে ঘুরতে বের হলে দাশুড়িয়ার একটি পেপার মিলে প্রথম রুপাকে ধর্ষণ করেন শাওন। রুপা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিলে শাওনের বাবা-মা তাদের ছেলের সঙ্গে রুপার বিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

এতে অভিযোগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রুপা। এরপর তাদের অবাধ মেলামেশা চলতে থাকে। তবে নানা টানাপোড়েনে আবারও ফাটল ধরে তাদের সম্পর্কে। এবার রুপাকে বশ করতে শাওনের বাবা-মা তাকে তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানেও বিয়ে ছাড়াই ছেলে ও মেয়েকে অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দেন তারা। দুইমাস পর ছাত্রলীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রুপাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শাওনের পরিবার।

রুপা আরও দাবি করেন, তিনি আবারও থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে শাওন কৌশলে তাদের বিশেষ মুহূর্তের সময় ধারন করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। সেই হুমকি আর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুপার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে লাপাত্তা হন শাওন।  

এর জেরে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শাওনকে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পেয়ে আটক করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে মেয়েটি ও স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়। পরে তাকে নিয়ে থানায় যায় মেয়েটি। তবে সেখানে দুজনের মধ্যে কেউই লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।

পরে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত প্রেমিক ও ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম শাওনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

তবে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েরই কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ। সঙ্গত কারণেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিলেন তরুণী!

তারিখ : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

পাবনা: বিয়ের দাবিতে নুরুল ইসলাম শাওন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে জনসম্মুখে গণধোলাই দিয়ে টেনে হিঁছড়ে থানায় নিলেন রুপা খাতুন নামে এক তরুণী।

তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন তারা। পরে বিয়ে না করেই নগদ অর্থ হাতিয়ে লাপাত্তা হন অভিযুক্ত শাওন।

বুধবার (২২ মার্চ) এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম শাওন ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে এবং ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী রুপা খাতুন ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী নাটোরের সিংড়া এলাকার মেয়ে এবং ঈশ্বরদী ইপিজেডের একজন কর্মী।

ভুক্তভোগী রুপা খাতুনের দাবি, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। এক পর্যায়ে দুজনে ঘুরতে বের হলে দাশুড়িয়ার একটি পেপার মিলে প্রথম রুপাকে ধর্ষণ করেন শাওন। রুপা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিলে শাওনের বাবা-মা তাদের ছেলের সঙ্গে রুপার বিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

এতে অভিযোগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রুপা। এরপর তাদের অবাধ মেলামেশা চলতে থাকে। তবে নানা টানাপোড়েনে আবারও ফাটল ধরে তাদের সম্পর্কে। এবার রুপাকে বশ করতে শাওনের বাবা-মা তাকে তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানেও বিয়ে ছাড়াই ছেলে ও মেয়েকে অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দেন তারা। দুইমাস পর ছাত্রলীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রুপাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শাওনের পরিবার।

রুপা আরও দাবি করেন, তিনি আবারও থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে শাওন কৌশলে তাদের বিশেষ মুহূর্তের সময় ধারন করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। সেই হুমকি আর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুপার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে লাপাত্তা হন শাওন।  

এর জেরে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শাওনকে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পেয়ে আটক করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে মেয়েটি ও স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়। পরে তাকে নিয়ে থানায় যায় মেয়েটি। তবে সেখানে দুজনের মধ্যে কেউই লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।

পরে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত প্রেমিক ও ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম শাওনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

তবে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েরই কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ। সঙ্গত কারণেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।