০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ড্রিমটিম ৯৬’র মিলনমেলা ও পারিবারিক বনভোজন তদন্ত ছাড়া সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাংবাদিক ফয়সাল’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের কুমিল্লার বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু কুমিল্লা স্টেডিয়ামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশী অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার আইদি বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে কুমিল্লায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান ওসমান হাদি আর নেই হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড

পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে হিজড়াদের চাঁদাবাজি থামছেই না

  • তারিখ : ১১:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 1850

ডেস্ক নিউজ :
সড়কের সিগন্যাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি কিংবা বিয়ে বাড়ি। সবখানেই হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। কেউ ভয়ে কেউ আবার স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু ইদানিং হিজড়াদের আচরণ বদলে গেছে। পাল্টে গেছে তাদের টাকা চাওয়ার ধরনও। আগের দিনের সেই টাকা তোলা এখন চাঁদা আদায়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে হিজড়ারা।
‘কই ভাই টাকাটাদে’, ‘লও লও হিজড়াগো টাকাটা লও’, ‘এই দেরি করিসনা টাকা দে’- এইভাবেই উচ্চস্বরে পরিবহন গুলোতে দাপিয়ে বেড়ায় হিজড়াদের দল। কোন যাত্রীর টাকা দিতে দেরি হলে কিংবা টাকা না দিতে চাইলে শুরু করেন দুর্ব্যবহার। এমনকি অনেককে শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত করেন হিজড়ারা।
এমন পরিস্থিতিতে কেউ সম্মানের কথা ভেবে টাকা দিয়ে দেন। আবারও কেউ প্রতিবাদও করেন। তবে হিজড়াদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে কেউ কথা বলছেন না। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে একদল হিজড়া পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পদুয়ার বাজার বিশ^রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় বাসে হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। প্রশাসনিক ভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এরা। সূর্য উঠার সাথে সাথে একদল হিজড়া সাজগোজ করে বিভিন্ন মোড়ে দুইজন কিংবা তিনজন দলবেঁধে অবস্থান নেয়। এরপর রিকসা কিংবা বিভিন্ন বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।
উপকূল পরিবহন বাসের এক যাত্রী বলেন, কি বলবো ভাই গাড়িতে উঠার পরপরই একদল হিজড়া এসে টাকা চাচ্ছে, না দিলে আবার খারাপ ব্যবহার করছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলছে না। কি যে এক বিব্রতকর অবস্থা, বুঝানো মুশকিল। মনে হচ্ছে প্রশাসনও এদের কাছে জিম্মি।

শেয়ার করুন

পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে হিজড়াদের চাঁদাবাজি থামছেই না

তারিখ : ১১:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ডেস্ক নিউজ :
সড়কের সিগন্যাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি কিংবা বিয়ে বাড়ি। সবখানেই হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। কেউ ভয়ে কেউ আবার স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু ইদানিং হিজড়াদের আচরণ বদলে গেছে। পাল্টে গেছে তাদের টাকা চাওয়ার ধরনও। আগের দিনের সেই টাকা তোলা এখন চাঁদা আদায়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে হিজড়ারা।
‘কই ভাই টাকাটাদে’, ‘লও লও হিজড়াগো টাকাটা লও’, ‘এই দেরি করিসনা টাকা দে’- এইভাবেই উচ্চস্বরে পরিবহন গুলোতে দাপিয়ে বেড়ায় হিজড়াদের দল। কোন যাত্রীর টাকা দিতে দেরি হলে কিংবা টাকা না দিতে চাইলে শুরু করেন দুর্ব্যবহার। এমনকি অনেককে শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত করেন হিজড়ারা।
এমন পরিস্থিতিতে কেউ সম্মানের কথা ভেবে টাকা দিয়ে দেন। আবারও কেউ প্রতিবাদও করেন। তবে হিজড়াদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে কেউ কথা বলছেন না। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে একদল হিজড়া পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পদুয়ার বাজার বিশ^রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় বাসে হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। প্রশাসনিক ভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এরা। সূর্য উঠার সাথে সাথে একদল হিজড়া সাজগোজ করে বিভিন্ন মোড়ে দুইজন কিংবা তিনজন দলবেঁধে অবস্থান নেয়। এরপর রিকসা কিংবা বিভিন্ন বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।
উপকূল পরিবহন বাসের এক যাত্রী বলেন, কি বলবো ভাই গাড়িতে উঠার পরপরই একদল হিজড়া এসে টাকা চাচ্ছে, না দিলে আবার খারাপ ব্যবহার করছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলছে না। কি যে এক বিব্রতকর অবস্থা, বুঝানো মুশকিল। মনে হচ্ছে প্রশাসনও এদের কাছে জিম্মি।