আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে নাতির শাবলের আঘাতে ১০৫ বছর বয়সী দাদীর মুত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত মিলনের নেছা উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের আমিননগর গ্রামের মৃত আসাব উদ্দিনের স্ত্রী ও ঘাতক দেলোয়ার হোসেনের দাদী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহতের নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক দেলোয়ার হোসেন (২২) আমিননগর গ্রামের জসিমউদ্দিনের ছেলে। সে বর্তমানে ঢাকা তিতুমির কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় ঘতক দেলোয়ার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, দেলোয়ার হোসেন ছিলেন একঘেয়ামি স্বভাবের। করোনাকালীন সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়ীতে তাঁর এই স্বভাবের জন্য প্রায় প্রতিদিন কারোনা কারো সাথে কথা কাটাকাটি হতো। যার ফলে পরিবারের সদস্যরাও তাঁর প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠছিলো।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মা আমেনা বেগম ও দাদী মিলনের নেছা দেলোয়ারকে তাঁর একঘেয়ামি স্বভাব পরিবর্তণ করতে বললে সে তার মাকে শাবল দিয়ে মারতে আসে। এসময় ছেলের হাত থেকে বাঁচতে মা আমেনা বেগম তার নিজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায় মাকে না পেয়ে দাদী মিলনের নেছার ঘরে ঢুকে শাবল দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। এসময় দেলোয়ারের বাবা জসিমউদ্দিন এশার নামাজ শেষে বাড়ী ফিরলে তার মা আমেনা বেগম ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে দেখে শাশুড়ী মিলনের নেছা ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক নাতি দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।