আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিসে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীকে ব্যাপক মারধর ও শ্লীলতাহানির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মুরাদনগর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা গ্রহন করে এজহারভূক্ত ৭ নাম্বার আসামিকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে আহত মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে দুপুরে উপজেলার ত্রিশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী জামাল হোসেন(৩০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলায় অন্য আসামিরা হলো, উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের মৃত শাহ আলম মেম্বারের ছেলে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন(৪০), তার ছোট ভাই সুমন সরকার, রাসেল মিয়া, সুধন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া, হাসু মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, তবদল মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, লতু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, অভিযোগের পরিপেক্ষিতে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধ এবং গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৮জুন রাতে মুরাদনগর উপজেলার ত্রিশ গ্রামের নারী মানবাধিকার কর্মী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে ডেকে এনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠনে সালিশে বসেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির
হোসেন।
এ সময় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন তার দলবল ওই নারীকে শ্লীলতাহানিসহ ব্যাপক মারধর করেন। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষায় ওই নারী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করলেও হামলাকারীরা তাকে দৌড়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেন। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল
হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।