অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
সোমবার রাতে জেদ্দার দক্ষিণে নাজরান এলাকার কর্মস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয় স্থানীয় পুলিশ।
এ বিষয়ে সুমির স্বামী নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সুমির সঙ্গে দুপুরে একবার কথা হয়েছে। সুমি বলেছে, সৌদি পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য আসবে। পরে রাতে আবার কথা হলে সুমি জানায়, এখন আর ফোন দিয়েন না, কিছু সময়ের মধ্যে পুলিশ এসে আমাকে নিয়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সুমিকে থানায় নিয়ে আসা হলেও তার এখানকার নিয়োগকর্তা (কফিল) তাকে ছাড়তে চাইছেন না।
তিনি সুমিকে আরও রাখতে চান। সুমিকে ছাড়তে হলে যারা বাংলাদেশ থেকে মধ্যস্থতা করে (রূপসী বাংলা ওভারসিজ) তাকে সেখানে পাঠিয়েছে, তাদের কাছ থেকে সৌদির কফিলকে অর্থ আদায় করে দিতে হবে।
কফিলের ভাষ্য, কারণ এখানে সুমিকে আনতে তার প্রায় তিন লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে, এই টাকা সেবায় শোধ হয়নি।
সৌদি আরবে পাশবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশে ফেরার আকুতি জানান সৌদি প্রবাসী নারী সুমি আক্তার।
সুমির আকুতির ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তার স্বামী নুরুল ইসলাম রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ভিডিওতে সুমি বলেন, ‘ওরা আমারে মাইরা ফালাইব, আমারে দেশে ফিরাইয়া নিয়া যান। আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমাকে আমার পরিবারের কাছে নিয়ে যান। আর কিছুদিন থাকলে আমি মরে যাব।’
বিডি প্রতিদিন/কালাম