আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়া (৫৫) ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। সাবেক ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়া উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে।
সর্বশেষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা কাজিয়াতল গ্রামের মোসলেম সরকারের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৪) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম থেকে আসা রুক্কু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলামকে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করার করণে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পরামর্শ দেন। এ নিয়ে নজরুল ইসলাম ও ইকবাল হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নজরুল ইসলাম তার বাবা রুক্কু মিয়াকে জানালে, রুক্কু মিয়া তার তিন ভাই, দুই ছেলেসহ আরো কয়েজন লোক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান বিএসসির সামনে ইকবাল হোসেনকে বেধরক মারধর করে এক পর্যায় রুক্কু মিয়া তার ছেলে নজরুল ইসলাম কে হুকুম দেয় শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার জন্য। এসময় ইকবালের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আসলে তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে দারোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান বিএসসি বলেন, ঘটনাটি আমার সামনেই হয়েছে। আসলে রুক্কু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন যথেষ্ট বেপরোয়া। তাই আমি সামনে থেকেও কিছু করতে পারিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামে মেয়ে বিয়ে, দালান নির্মাণ, যে কোন শালিস, জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে সকল কাজে ওই ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে টাকা দিয়ে খুশি না করলে তাদের অত্যাচারে দিশেহারা হতে হয় ওই পরিবারের লোকজনকে। গত কিছু দিন আগে একই গ্রামের প্রবাসী শফিক মিয়ার মেয়েকে পাত্র পক্ষের লোকজন দেখতে আসলে রুক্কু মিয়া শফিকের স্ত্রীর কাছে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রুক্কু মিয়া পাত্র পক্ষের লোকদেরকে অপমান করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে শফিকের চলাচলের রাস্তায় কাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয়। উপায় না দেখে শফিকের স্ত্রী মুরাদনগর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরদিন রাতে বেলা তার বাড়ীর পাশে আগুন লাগিয়ে দেয় রুক্কু মিয়ার লোকজন। পরে শফিকের স্ত্রীকে নানা ভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নাম মাত্র আপোষ হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, ইকবাল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়াকে আটক করে রবিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।