স্বকৃত গালিব,কুবি প্রতিনিধি :
করোনা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফরমুলা অনুসরণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য নিজস্ব ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে তারা। চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার রোগী বাংলাদেশেও শনাক্ত হওয়ার পর থেকে যতটা শঙ্কা বেড়েছে ততটুকু বেড়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম । একইসাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে তৈরি হয়েছে সংকট। যে কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য নিজস্ব ল্যাবে এইসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ ও বিভাগটির সহযোগী সংগঠন ‘ফার্মেসী সোসাইটি’ । সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফিস, ঝুঁকিতে থাকা ৪টি আবাসিক হল এবং ১৯ টি বিভাগে বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো বৃহত্তর পরিসরে তৈরি করা হবে বলে জানান বিভাগটি চেয়ারম্যান। বিভাগটির ছাত্র উপদেষ্টা প্রভাষক জয় চন্দ্র রাজবংশী বলেন, করোনা ভাইরাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে গুজব এড়িয়ে সতর্কতা বেশি প্রয়োজন। আমাদের ফার্মেসিতে একটা কথা আছে “চিকিৎসা থেকে প্রতিরোধে ভাল” তাই আমাদের বিভাগের সবার সহযোগিতায় “সবার জন্য মানবিকতা” স্লোগানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি এবং বিতরণ করা হয়। ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ কৌশিক আহমেদ বলেন, আমাদের বিভাগটা এখনো অনেক ছোট তারপরও বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহন করি। বিভাগ এবং ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহযোগিতা এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা প্রাথমিকভাবে ২৯০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করি এবং আজকে বিতরণ করি। মামনীয় ভিসি স্যার আমাদের এই কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি আরো বৃহত্তম পরিসরে কাজ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা আজকের মধ্যে আরো ১০০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করবো। যা আগামীকাল মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার কাছে বিতরণ করতে পারবো বলে আশা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ফার্মেসি বিভাগের এই উদ্যোগ অনেক ভাল । আমি ফার্মেসি বিভাগের সুচিন্তা এবং কাজকে সাধুবাদ জানাই। করোনা সতর্কতায় যে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে ।’