০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ!

  • তারিখ : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 828

লাকসাম প্রতিনিধি : কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চার লেনে উন্নীত করার কাজ উদ্বোধন করা হয়। চলতি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও সড়কটির চার লেন উন্নীতকরণের সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই।

কুমিল্লা দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার লাখ লাখ যাত্রী আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম, ১৬ চাকার কনটেইনার মুভারসহ সব ধরনের যান চলাচল করে।

চার লেন কাজে ধীরগতি এবং যানজটের কারণে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। লাকসাম বাইপাস, চাঁদপুর রেলগেট, জংশন, মিশ্রি, হরিশ্চর, আলীশ্বর, বাগমারা, দক্ষিণ বাইপাস, ফতেপুর, বাটিয়াভিটা সড়কের মাঝখানেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের গর্তগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের লাকসাম অংশে হেলে-দুলে চলে বিভিন্ন পরিবহন। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত এতদিন চার লেনের কাজ শুরু না হওয়ায় যাত্রীদের বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে চার লেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত প্রায় দুই বছর টেন্ডার ঝুলে থাকে। দুই লেনের টেন্ডার হলেও কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। শহরের বাইপাস সড়কটি ৮৫/৯০ ভাগ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন পরিবহন দৌলতগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলছে। এতে বাজার সড়কের স্থায়িত্ব কমার পাশাপাশি বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর লাকসাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন জানান, লাকসাম থেকে লালমাই অংশের দুই লেনের টেন্ডার হয়েছে। সড়কে থাকা গর্তগুলো খুব সহসা ভরাট করে পরিবহন চলাচল উপযোগী করা হবে বলে তিনি জানান।

বিডি প্রতিদিন

শেয়ার করুন

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ!

তারিখ : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

লাকসাম প্রতিনিধি : কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চার লেনে উন্নীত করার কাজ উদ্বোধন করা হয়। চলতি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও সড়কটির চার লেন উন্নীতকরণের সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই।

কুমিল্লা দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার লাখ লাখ যাত্রী আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম, ১৬ চাকার কনটেইনার মুভারসহ সব ধরনের যান চলাচল করে।

চার লেন কাজে ধীরগতি এবং যানজটের কারণে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। লাকসাম বাইপাস, চাঁদপুর রেলগেট, জংশন, মিশ্রি, হরিশ্চর, আলীশ্বর, বাগমারা, দক্ষিণ বাইপাস, ফতেপুর, বাটিয়াভিটা সড়কের মাঝখানেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের গর্তগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের লাকসাম অংশে হেলে-দুলে চলে বিভিন্ন পরিবহন। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত এতদিন চার লেনের কাজ শুরু না হওয়ায় যাত্রীদের বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে চার লেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত প্রায় দুই বছর টেন্ডার ঝুলে থাকে। দুই লেনের টেন্ডার হলেও কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। শহরের বাইপাস সড়কটি ৮৫/৯০ ভাগ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন পরিবহন দৌলতগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলছে। এতে বাজার সড়কের স্থায়িত্ব কমার পাশাপাশি বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর লাকসাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন জানান, লাকসাম থেকে লালমাই অংশের দুই লেনের টেন্ডার হয়েছে। সড়কে থাকা গর্তগুলো খুব সহসা ভরাট করে পরিবহন চলাচল উপযোগী করা হবে বলে তিনি জানান।

বিডি প্রতিদিন