০৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

মুরাদনগরে চাদাঁ না পেয়ে নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

  • তারিখ : ০৮:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 727

আরিফ গাজী :

চাদাঁ না পেয়ে ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে বিল্ডিং ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরূপায় হয়ে বিষয়টির ব্যাপারে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে ভূক্তভোগি মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতেই একটি মহল খাস জায়গায় বিল্ডিং করার অজুহাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বুধবার সন্ধ্যায় একটি মহল রড, সাবল, হাতুরী ও লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়।

এ সময় দুইজন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন- একই গ্রামের মৃত তুজু মেম্বারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে সফিক মিয়া প্রমুখ। হামলাকারীরা গ্রেন্ডার মেশিন দিয়ে পিলার কেটে নির্মানাধীন বিল্ডিং মাটিতে মিশিয়ে দেয়। পরে ঘরে ঢুকে স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে।

ঘটনাটি ভিডিও করায় বাড়ির মহিলাদের উপরও হামলা চালিয়ে কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে এবং ৩টি মোবাইল কেড়ে নেয়। তখন বাড়ির শিশু বাচ্চারা ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বাড়ি ভাংচুর করার সত্যতা স্বীকার করলেও চাদাঁ দাবি ও ঘরে ঢুকে লুটপাট করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূক্তভোগিরা ৯৯৯-এ কল দিলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে এ ভাবে ভাংচুর করা সঠিক হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

মুরাদনগরে চাদাঁ না পেয়ে নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

তারিখ : ০৮:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

আরিফ গাজী :

চাদাঁ না পেয়ে ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে বিল্ডিং ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরূপায় হয়ে বিষয়টির ব্যাপারে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে ভূক্তভোগি মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতেই একটি মহল খাস জায়গায় বিল্ডিং করার অজুহাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বুধবার সন্ধ্যায় একটি মহল রড, সাবল, হাতুরী ও লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়।

এ সময় দুইজন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন- একই গ্রামের মৃত তুজু মেম্বারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে সফিক মিয়া প্রমুখ। হামলাকারীরা গ্রেন্ডার মেশিন দিয়ে পিলার কেটে নির্মানাধীন বিল্ডিং মাটিতে মিশিয়ে দেয়। পরে ঘরে ঢুকে স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে।

ঘটনাটি ভিডিও করায় বাড়ির মহিলাদের উপরও হামলা চালিয়ে কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে এবং ৩টি মোবাইল কেড়ে নেয়। তখন বাড়ির শিশু বাচ্চারা ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বাড়ি ভাংচুর করার সত্যতা স্বীকার করলেও চাদাঁ দাবি ও ঘরে ঢুকে লুটপাট করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূক্তভোগিরা ৯৯৯-এ কল দিলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে এ ভাবে ভাংচুর করা সঠিক হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।