আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরদনগরে এক আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার উপজেলার ৩নং আন্দিকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক সরকার রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, এই নেতা চাচাতো ভাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে খোদ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রচারণায়ও নেমেছেন।
এমন অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের। অভিযুক্ত মোঃ হারুন অর রশিদ এক সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থী ওমর ফারুক সরকার বলেন, আগামী ১৪ই জানুয়ারী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দহবে। অথচ গত একসপ্তাহ যাবত হারুন সাহেব একজন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা হয়েও তার চাচাতো ভাই জাকির হোসেনের ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে প্রচার প্রচারনাসহ সমাবেশ করছেন। যার ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। তাই আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ দিয়েছি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমি তদন্ত করছি।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘সব ইউনিয়নে একই চিত্র। আপন চাচাতো ভাই নির্বাচন করছে তাকে তো ফেলে দিয়ে পারবোনা। তাই দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করতে হচ্ছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুনাছের বলেন,‘হারুন অর রশিদ একদি কে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন অন্য দিকে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এই উপজেলায় সে একজন প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সরাসরী মাঠে নামায় অন্য ইউনিয়নের নেতাকর্মীরাও তার পথে হাটছে। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত দলীয় ব্যবস্থা নানিলে এই উপজেলায় নৌকার প্রার্থীরা বেকায়দায় পরবে।’
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে হারুন সাহেব যদি নৌকার বিরুদ্ধে প্রচারণায় নামে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।