০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার বেপরোয়া বোগদাদ বাসের ধাক্কায় অসহায় ভ্যান চালকের মৃত্যু কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সদর দক্ষিণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে মাছের খাদ্য বিতরণ

কুমিল্লায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ টাকার টিকিট ১০০ টাকা

  • তারিখ : ০৪:২৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / 434

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ব্যবস্থাপত্রের নামে রোগীদের থেকে ৫ টাকা টিকিটের পরিবর্তে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সরকারি আইন অনুযায়ী উপজেলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে রোগীদের থেকে ৫ টাকা নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও নেওয়া হচ্ছে দশগুণেরও বেশি।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, রোগী প্রতি টিকিটের মূল্য ৫ টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আবুল কালাম সরদারের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

মোহাম্মদপুর গ্রামের শাহিনুর বেগম নামে এক গৃহিণী, ‘৫ টাকা জমা দিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট নিয়েছি। কিন্তু ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার আগে ৫০ টাকা চায় মো. আবুল কালাম সরদার। পরে বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়েই ডাক্তার দেখাতে হয়েছে।’

চড়কখোলা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তাছলিমা বেগম বলেন, ‘আমি কাউন্টারে ৫ টাকা টিকিটের জন্য জমা দিয়ে লাইনে দাঁড়ালে ডাক্তার আবুল কালাম সরদার বলেন খুচরা ৫০ টাকা করে হাতে নিতে। পরে তিনি ৫০ টাকা নিয়ে আমার সমস্যা অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন লিখেছেন। ৫০ টাকার এক পয়সা কম হলে তিনি রোগী দেখেন না।’

জসিম উদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে যদি আমাদের ব্যবস্থাপত্র নিতে হয় তাহলে সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে কিসের জন্য?’

অভিযোগের বিষয়ে মো. আবুল কালাম সরদার বলেন, ‘এই কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন এমএলএ ও একজন পিয়ন থাকার কথা থাকলেও সব পোস্ট ওই শূন্য রয়েছে। আমাকে একাই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে হয়। আমি যে ৫০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা করে রোগীদের থেকে নেই বিষয়টি আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ জানেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি।’

মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দুলাল আহমেদ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছে সেটা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সরকার নির্ধারিত টাকার চাইতে অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ টাকা করে নেওয়ার। বেশি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ টাকার টিকিট ১০০ টাকা

তারিখ : ০৪:২৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ব্যবস্থাপত্রের নামে রোগীদের থেকে ৫ টাকা টিকিটের পরিবর্তে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সরকারি আইন অনুযায়ী উপজেলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে রোগীদের থেকে ৫ টাকা নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও নেওয়া হচ্ছে দশগুণেরও বেশি।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, রোগী প্রতি টিকিটের মূল্য ৫ টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আবুল কালাম সরদারের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

মোহাম্মদপুর গ্রামের শাহিনুর বেগম নামে এক গৃহিণী, ‘৫ টাকা জমা দিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট নিয়েছি। কিন্তু ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার আগে ৫০ টাকা চায় মো. আবুল কালাম সরদার। পরে বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়েই ডাক্তার দেখাতে হয়েছে।’

চড়কখোলা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তাছলিমা বেগম বলেন, ‘আমি কাউন্টারে ৫ টাকা টিকিটের জন্য জমা দিয়ে লাইনে দাঁড়ালে ডাক্তার আবুল কালাম সরদার বলেন খুচরা ৫০ টাকা করে হাতে নিতে। পরে তিনি ৫০ টাকা নিয়ে আমার সমস্যা অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন লিখেছেন। ৫০ টাকার এক পয়সা কম হলে তিনি রোগী দেখেন না।’

জসিম উদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে যদি আমাদের ব্যবস্থাপত্র নিতে হয় তাহলে সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে কিসের জন্য?’

অভিযোগের বিষয়ে মো. আবুল কালাম সরদার বলেন, ‘এই কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন এমএলএ ও একজন পিয়ন থাকার কথা থাকলেও সব পোস্ট ওই শূন্য রয়েছে। আমাকে একাই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে হয়। আমি যে ৫০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা করে রোগীদের থেকে নেই বিষয়টি আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ জানেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি।’

মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দুলাল আহমেদ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছে সেটা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সরকার নির্ধারিত টাকার চাইতে অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ টাকা করে নেওয়ার। বেশি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’