০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় যৌথ অভিযানে রিভলবার-এলজি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪ কুমিল্লা সদর দক্ষিণে মাদক ব্যবসায়ী বিল্লালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক

আমি কোন দলের এজেন্ট বা প্রোডাক্ট নই: আজহারী

  • তারিখ : ০৪:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 1011

আমি কোন দলের এজেন্ট বা প্রোডাক্ট নই। আর কোন রাজনৈতিক দলের অর্থায়নে আমার শিক্ষা জীবনও কাটেনি। মিথ্যাচার যেন এদেশে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। আর সেটা যখন প্রকাশ্যে, গণমাধ্যমে, দেশের কোন উচ্চ পদস্থ দায়িত্বশীলের মুখ থেকে প্রকাশ পায়, তখন আফসোস আর হেদায়েতের দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এসব কথা জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর।

সম্প্রতি মিজানুর রহমান আজহারীকে ‘জামায়াতের প্রোডাক্ট’ বলে মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আজাহারীসহ কিছু ধর্মীয় বক্তা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে জামায়াতের প্রচারণা চালাচ্ছে। বর্তমানে প্রকাশ্যে জামায়াতের রাজনীতির সুযোগ না থাকায় কৌশলে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে এসব বক্তা জামায়াতের পক্ষে কথাবার্তা বলছেন।

এ বিষয়ে বুধবার রাত পৌনে ১২টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন আজহারী।আজহারী লেখেন, তিনি ইসলামের একজন দায়ী। দ্বীনের খেদমতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলামের মধ্যমপন্থার সৌন্দর্যকে প্রমোট করাই তার উদ্দেশ্য।

পাঠকদের উদ্দেশে আজহারীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমি কোনো দলের এজেন্ট বা প্রোডাক্ট নই। আর কোনো রাজনৈতিক দলের অর্থায়নে আমার শিক্ষাজীবনও কাটেনি। মিথ্যাচার যেন এ দেশে মহামারীতে রুপ নিয়েছে। আর সেটি যখন প্রকাশ্যে, গণমাধ্যমে, দেশের কোনো উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলের মুখ থেকে প্রকাশ পায়, তখন আফসোস আর হেদায়েতের দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

নিজের চিন্তা আর মতের বিরুদ্ধে গেলেই এ দেশে একটা সস্তা ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয়। আর সেটি হলো– ‘জামায়াত-শিবির’। এবার আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হোন অথবা মনেপ্রাণে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক হোন। দ্যাট ডাজেন্ট মেটার। ভিন্নমতকে দমনের এই অপকৌশল পুরো জাতির ভাগ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

একজন দা’ঈ ইলাল্লাহর কোনো দল নাই। তিনি সব দলের, সব মানুষের। তাদের দলীয়করণ না করে ব্যাপকভাবে দ্বীনের খেদমতের সুযোগ করে দেয়া উচিত। দেশের সব দলের মানুষ যেন তাদের দ্বারা আলোকিত হতে পারে সেটির পরিবেশ থাকা উচিত।

আমি সরকারবিরোধী নই। আমি অন্যায়বিরোধী। তাই কোনো অন্যায় দেখলে সে ব্যাপারে কথা বলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এবার সে অন্যায় যেই করুক না কেন, যে দলই হোক না কেন।

ব্যক্তিগতভাবে, এ দেশের রাজনীতিতে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি ও দাওয়াহ অ্যাক্টিভিটি এ দুটি কাজই হলো আমার আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু।

আমার মিশন হলো– এ দেশে ইসলামের মধ্যমপন্থার সৌন্দর্যকে প্রমোট করা। যেটিকে আরবিতে বলে আল-ওয়াসাতিয়্যাহ। জীবনযাপনে ভারসাম্য, চিন্তায় ভারসাম্য, কাজে ভারসাম্য এবং আচরণে ভারসাম্যপূর্ণ মুসলিম তৈরি করা।

ভিন্নমতের ব্যাপারে আমি বরাবরের মতোই শ্রদ্ধাশীল। সব মুসলমানকে আপন ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। তাদের নাজাতের জন্যে মন ভরে দোয়া করি। কারও পিছু লেগে থাকা, কাদা ছোড়াছুড়ি করা এবং কোনো মুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে অন্তরে হিংসা পুষে রাখা পছন্দ করি না। কারণ ইসলাম আমাকে এটি শেখায়নি। আর প্রিয় নবীর (স.) আদর্শও এমনটি নয়।

আমি চাই বিভিন্ন ঘরানার আলেমরা সহনশীলতার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের চর্চা করুক। তাদের উদারতার প্রভাব পড়ুক দেশের সব শ্রেণির মানুষের মাঝে। সংকীর্ণতা আর হীনমন্যতা পরিহার করে, দ্বীনের সব দায়ীরা কোরআন সুন্নাহর সুধা বেলাতে থাকুক পুরো দেশজুড়ে, পুরো পৃথিবীজুড়ে।’

শেয়ার করুন

আমি কোন দলের এজেন্ট বা প্রোডাক্ট নই: আজহারী

তারিখ : ০৪:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আমি কোন দলের এজেন্ট বা প্রোডাক্ট নই। আর কোন রাজনৈতিক দলের অর্থায়নে আমার শিক্ষা জীবনও কাটেনি। মিথ্যাচার যেন এদেশে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। আর সেটা যখন প্রকাশ্যে, গণমাধ্যমে, দেশের কোন উচ্চ পদস্থ দায়িত্বশীলের মুখ থেকে প্রকাশ পায়, তখন আফসোস আর হেদায়েতের দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এসব কথা জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর।

সম্প্রতি মিজানুর রহমান আজহারীকে ‘জামায়াতের প্রোডাক্ট’ বলে মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আজাহারীসহ কিছু ধর্মীয় বক্তা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে জামায়াতের প্রচারণা চালাচ্ছে। বর্তমানে প্রকাশ্যে জামায়াতের রাজনীতির সুযোগ না থাকায় কৌশলে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে এসব বক্তা জামায়াতের পক্ষে কথাবার্তা বলছেন।

এ বিষয়ে বুধবার রাত পৌনে ১২টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন আজহারী।আজহারী লেখেন, তিনি ইসলামের একজন দায়ী। দ্বীনের খেদমতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলামের মধ্যমপন্থার সৌন্দর্যকে প্রমোট করাই তার উদ্দেশ্য।

পাঠকদের উদ্দেশে আজহারীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমি কোনো দলের এজেন্ট বা প্রোডাক্ট নই। আর কোনো রাজনৈতিক দলের অর্থায়নে আমার শিক্ষাজীবনও কাটেনি। মিথ্যাচার যেন এ দেশে মহামারীতে রুপ নিয়েছে। আর সেটি যখন প্রকাশ্যে, গণমাধ্যমে, দেশের কোনো উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলের মুখ থেকে প্রকাশ পায়, তখন আফসোস আর হেদায়েতের দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

নিজের চিন্তা আর মতের বিরুদ্ধে গেলেই এ দেশে একটা সস্তা ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয়। আর সেটি হলো– ‘জামায়াত-শিবির’। এবার আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হোন অথবা মনেপ্রাণে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক হোন। দ্যাট ডাজেন্ট মেটার। ভিন্নমতকে দমনের এই অপকৌশল পুরো জাতির ভাগ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

একজন দা’ঈ ইলাল্লাহর কোনো দল নাই। তিনি সব দলের, সব মানুষের। তাদের দলীয়করণ না করে ব্যাপকভাবে দ্বীনের খেদমতের সুযোগ করে দেয়া উচিত। দেশের সব দলের মানুষ যেন তাদের দ্বারা আলোকিত হতে পারে সেটির পরিবেশ থাকা উচিত।

আমি সরকারবিরোধী নই। আমি অন্যায়বিরোধী। তাই কোনো অন্যায় দেখলে সে ব্যাপারে কথা বলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এবার সে অন্যায় যেই করুক না কেন, যে দলই হোক না কেন।

ব্যক্তিগতভাবে, এ দেশের রাজনীতিতে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি ও দাওয়াহ অ্যাক্টিভিটি এ দুটি কাজই হলো আমার আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু।

আমার মিশন হলো– এ দেশে ইসলামের মধ্যমপন্থার সৌন্দর্যকে প্রমোট করা। যেটিকে আরবিতে বলে আল-ওয়াসাতিয়্যাহ। জীবনযাপনে ভারসাম্য, চিন্তায় ভারসাম্য, কাজে ভারসাম্য এবং আচরণে ভারসাম্যপূর্ণ মুসলিম তৈরি করা।

ভিন্নমতের ব্যাপারে আমি বরাবরের মতোই শ্রদ্ধাশীল। সব মুসলমানকে আপন ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। তাদের নাজাতের জন্যে মন ভরে দোয়া করি। কারও পিছু লেগে থাকা, কাদা ছোড়াছুড়ি করা এবং কোনো মুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে অন্তরে হিংসা পুষে রাখা পছন্দ করি না। কারণ ইসলাম আমাকে এটি শেখায়নি। আর প্রিয় নবীর (স.) আদর্শও এমনটি নয়।

আমি চাই বিভিন্ন ঘরানার আলেমরা সহনশীলতার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের চর্চা করুক। তাদের উদারতার প্রভাব পড়ুক দেশের সব শ্রেণির মানুষের মাঝে। সংকীর্ণতা আর হীনমন্যতা পরিহার করে, দ্বীনের সব দায়ীরা কোরআন সুন্নাহর সুধা বেলাতে থাকুক পুরো দেশজুড়ে, পুরো পৃথিবীজুড়ে।’