কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লার মুরাদনগরে ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে ইসরাত জাহান জান্নাত (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৯ ম) দুপুরে উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা আবিদা সুলতানা ৪ জনের নাম উল্লোখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অপহৃত ইসরাত জাহান উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি উপজেলার কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান রনি (৩৫), তার ভাই হাবিবুর রহমান সানি (২১), তকদির হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৪) ও কামরুল (২৫)।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত মতিউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান সানি নুসরাত জাহান জান্নাতকে উত্ত্যাক্ত করে আসছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নুসরাত জাহান জান্নাতকে অশ্লীল ভাষায় ডাকাডাকি করতেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হাবিবুর রহমান সানির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র, রাম দা, পিস্তলসহ একদল সন্ত্রাসী কলেজছাত্রী নুসরাত জাহানকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তার মা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণকারীরা তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করেন এবং জান্নাতকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যার।

এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কে দিক-বিদ্বিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

অপহৃত কলেজছাত্রীর মা সুলতানা বেগম বলেন, আমি বাড়ির ময়লা ফেলার জন্য গেট খুললে কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই হাবিবুর রহমান সানিসহ দুজন আমার বাসায় প্রবেশ করে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে মারধর করে ও নুসরাতকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি এবং দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, সোমবার রাতে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।