০৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

কুমিল্লায় অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় স্বপরিবারকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া

  • তারিখ : ০৪:৩৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 321

আরিফ গাজী :

বসতঘরের মাত্র ১শ গজের মধ্যে গত তিন মাস ধরে দেদারসে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন। এরই মধ্যে মৌখিক ভাবে কয়েক দফা জানানোর পরেও তারা ড্রেজার বন্ধ করেনি। পরে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে গত বছরের ডিসেম্বার মাসের ২৬ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী স্যারের বরাবর গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তারা কেমনে জানি জানতে পেরে আমারে বেধরক মারধর করে। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আবারো এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই।

এতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টো বিষয়টি জানতে পেরে ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল ও তার লোকজন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রোজা রাখা অবস্থায় আমাকেসহ আমার স্বপরিবারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এখন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে আবুল বাসার (৬২)। অভিযুক্ত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মতিন মুন্সির ছেলে।

ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ী রক্ষা করতে আমার বাবা যত বার ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে ততবারই তারা আমার বাবাসহ আমাদেরকে মারধর করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা স্বপরিবারে এখন গ্রাম ছাড়া। এখনতো আমার মনে হচ্ছে তারা উপজেলা প্রশাসনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তিন মাসে ড্রেজার তো বন্ধ হয়নি বরং অভিযোগ দিয়ে বার বার আমরা মারধরের শিকার হচ্ছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুরুতে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজার বন্ধে আমার তহসিলদার ও পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী যদি অভিযোগ কারিকে মারধর করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় স্বপরিবারকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া

তারিখ : ০৪:৩৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আরিফ গাজী :

বসতঘরের মাত্র ১শ গজের মধ্যে গত তিন মাস ধরে দেদারসে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন। এরই মধ্যে মৌখিক ভাবে কয়েক দফা জানানোর পরেও তারা ড্রেজার বন্ধ করেনি। পরে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে গত বছরের ডিসেম্বার মাসের ২৬ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী স্যারের বরাবর গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তারা কেমনে জানি জানতে পেরে আমারে বেধরক মারধর করে। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আবারো এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই।

এতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টো বিষয়টি জানতে পেরে ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল ও তার লোকজন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রোজা রাখা অবস্থায় আমাকেসহ আমার স্বপরিবারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এখন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে আবুল বাসার (৬২)। অভিযুক্ত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মতিন মুন্সির ছেলে।

ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ী রক্ষা করতে আমার বাবা যত বার ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে ততবারই তারা আমার বাবাসহ আমাদেরকে মারধর করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা স্বপরিবারে এখন গ্রাম ছাড়া। এখনতো আমার মনে হচ্ছে তারা উপজেলা প্রশাসনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তিন মাসে ড্রেজার তো বন্ধ হয়নি বরং অভিযোগ দিয়ে বার বার আমরা মারধরের শিকার হচ্ছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুরুতে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজার বন্ধে আমার তহসিলদার ও পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী যদি অভিযোগ কারিকে মারধর করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।