০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

সদর দক্ষিণের শিশু নাবিলা ধর্ষণের পর হত্যা, আসামি তুষারের মৃত্যুদণ্ড

  • তারিখ : ০৭:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 682

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ৪ বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী মেহরাজ হোসেন তুষারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন বিচারক। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় দেন। আসামি তুষার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তুষার। পরে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে মরদেহ মুড়িয়ে রাখে প্রতিবেশী যুবক তুষার। সেদিন ভুক্তভোগী ওই শিশুকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন সকালে খোঁজাখুঁজির সময় ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর দাদা বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশি তদন্তে ১৪ দিন পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর আজ নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি তুষারকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পিপি বদিউল আলম সুজন বলেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারের দিন থাকা অবস্থায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি তুষার জবানবন্দিতে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুর মা বলেন, ‘গত ৭ বছর যাবত মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি তুষারের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট, কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় কার্যকর চাই।

শেয়ার করুন

সদর দক্ষিণের শিশু নাবিলা ধর্ষণের পর হত্যা, আসামি তুষারের মৃত্যুদণ্ড

তারিখ : ০৭:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ৪ বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী মেহরাজ হোসেন তুষারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন বিচারক। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় দেন। আসামি তুষার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তুষার। পরে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে মরদেহ মুড়িয়ে রাখে প্রতিবেশী যুবক তুষার। সেদিন ভুক্তভোগী ওই শিশুকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন সকালে খোঁজাখুঁজির সময় ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর দাদা বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশি তদন্তে ১৪ দিন পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর আজ নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি তুষারকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পিপি বদিউল আলম সুজন বলেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর মামলাটি বিচারের দিন থাকা অবস্থায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি তুষার জবানবন্দিতে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুর মা বলেন, ‘গত ৭ বছর যাবত মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি তুষারের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট, কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় কার্যকর চাই।