চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ জন।
শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫৮ জন। চীনের বাইরে মারা গেছে ১ হাজার ১৩৭ জন।
এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৭৮ জন।
চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৪০১ জন। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৪৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৬১৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ১১৯ দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস বয়স্ক ব্যক্তি এবং আগে থেকেই অসুস্থ এমন ব্যক্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চীনে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২৪ জন এবং মারা গেছে ২২ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ৭৭৮ জন এবং মারা গেছে ৩ হাজার ১৫৮ জন।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনসহ অধিক আক্রান্ত দেশ ভ্রমণে সতর্কতা, নিষেধাজ্ঞা এবং কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রায় সব দেশ। ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অধিকাংশ বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে।
চীনে উদ্ভূত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৯ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের বাইরে শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৪০১ জন। এর মধ্যে ইতালিতে ১০ হাজার ১৪৯ জন, যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চ।
যেসব দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে- তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চীনে ৩ হাজার ১৫৮ জন, এর পর ইতালিতে ৬৩১, ইরানে ২৯১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬০, যুক্তরাষ্ট্রে ৩০, ফ্রান্সে ৩৩, স্পেনে ৩৬, জাপানে ১০, ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে ৭, ইরাকে ৭, হংকংয়ে ৩, অস্ট্রেলিয়ায় ৩, যুক্তরাজ্যে ৬, নেদারল্যান্ডসে ৪, জার্মানিতে ২, সুইজারল্যান্ডে ৩, সান ম্যারিনো ও ভারতে ২ জন করে। এ ছাড়া ফিলিপাইন, পানামা, মরক্কো, মিসর, থাইল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, কানাডা, লেবানন ও তাইওয়ানে ১ জন করে।