১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে সিঙারা অর্ডার, তারপর….

  • তারিখ : ০৯:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০
  • / 1012

করোনা মোকাবিলায় যে কোনওরকম সাহায্য প্রদানের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ সরকার। অনেকেই সেখানে নিজেদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও মশকরা করতে ছাড়লেন না এক নাগরিক। সেই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সিঙারা চেয়ে বসলেন তিনি। ফলস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও পেতে হল তাঁকে। খবর-সংবাদ প্রতিদিন।

উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলার বাসিন্দা হেল্পলাইনে ফোন করে বলেন, তাঁর বাড়িতে গরম গরম সিঙারা দিয়ে আসতে। একবার নয়, একাধিকবার ফোন করে বিরক্ত করেন ওই ব্যক্তি। এমন ফোন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন হেল্পলাইনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। খবর যায় রামপুর জেলাশাসকের কানে। এরপরই তাঁকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলাশাসক।

প্রথমে অর্ডার মাফিক তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সিঙারা। মুখে চওড়া হাসি ফোটে ওই ব্যক্তির। কিন্তু সে হাসি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ এরপরই তাঁকে এলাকার নর্দমা পরিষ্কারের নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি নির্দেশ মেনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে কাজ করতে বাধ্য হন ওই ব্যক্তি। হেল্পলাইন নম্বরে ফোনে এমন মশকরা করা যে তাঁর উচিত হয়নি, তা হাড়ে হাড়ে টের পান।

তবে এই প্রথম নয়, রামপুর জেলায় হেল্পলাইন নম্বরে এমন অনেক অবাঞ্ছিত ফোন এসেছে। এর আগে একজন ফোন করে বাড়িতে পিজ্জা চেয়েও পাঠিয়েছেন। জেলাশাসক এ কুমার সিং তাই টুইট করে প্রত্যেককে এমন না করতে সতর্ক করেছেন। জানিয়েছেন, এধরনের ফোন এলে সেই ব্যক্তিকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। দেশজুড়ে লকডাউনে মানুষের আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।

শেয়ার করুন

করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে সিঙারা অর্ডার, তারপর….

তারিখ : ০৯:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০

করোনা মোকাবিলায় যে কোনওরকম সাহায্য প্রদানের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ সরকার। অনেকেই সেখানে নিজেদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও মশকরা করতে ছাড়লেন না এক নাগরিক। সেই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সিঙারা চেয়ে বসলেন তিনি। ফলস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও পেতে হল তাঁকে। খবর-সংবাদ প্রতিদিন।

উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলার বাসিন্দা হেল্পলাইনে ফোন করে বলেন, তাঁর বাড়িতে গরম গরম সিঙারা দিয়ে আসতে। একবার নয়, একাধিকবার ফোন করে বিরক্ত করেন ওই ব্যক্তি। এমন ফোন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন হেল্পলাইনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। খবর যায় রামপুর জেলাশাসকের কানে। এরপরই তাঁকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলাশাসক।

প্রথমে অর্ডার মাফিক তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সিঙারা। মুখে চওড়া হাসি ফোটে ওই ব্যক্তির। কিন্তু সে হাসি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ এরপরই তাঁকে এলাকার নর্দমা পরিষ্কারের নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি নির্দেশ মেনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে কাজ করতে বাধ্য হন ওই ব্যক্তি। হেল্পলাইন নম্বরে ফোনে এমন মশকরা করা যে তাঁর উচিত হয়নি, তা হাড়ে হাড়ে টের পান।

তবে এই প্রথম নয়, রামপুর জেলায় হেল্পলাইন নম্বরে এমন অনেক অবাঞ্ছিত ফোন এসেছে। এর আগে একজন ফোন করে বাড়িতে পিজ্জা চেয়েও পাঠিয়েছেন। জেলাশাসক এ কুমার সিং তাই টুইট করে প্রত্যেককে এমন না করতে সতর্ক করেছেন। জানিয়েছেন, এধরনের ফোন এলে সেই ব্যক্তিকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। দেশজুড়ে লকডাউনে মানুষের আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।