০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

ভিক্ষার টাকায় অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন পা হারানো রেজাউল

  • তারিখ : ০১:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০
  • / 1083

শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. রেজাউল হক (৪০) পেশায় একজন ভিক্ষুক। দুর্ঘটনায় নিজের একটি পা হারানোর পর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলে তার সংসার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন নগরের বায়েজিদ বোস্তামীতে। চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউন শুরু হলে বাসা থেকে আর বের হতে পারেননি রেজাউল। থেমে যায় রোজগার।

জানা গেছে, যে কলোনিতে রেজাউল থাকেন সেখানকার সবাই পেশায় হয়তো রিকশাচালক, নয়তো দিনমজুর। সব বন্ধ থাকায় তাদেরও উপার্জন বন্ধ। তাদের ওখানে ক্রাণ না পৌঁছানোতে থাকতে হয় অনাহারে, অর্ধাহারে। প্রতিবেশীর এ কষ্ট সহ্য হয়নি রেজাউলের। গত কয়েক মাসে ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন ১২ হাজার টাকা। সিদ্ধান্ত নিলেন সে টাকা দিয়েই প্রতিবেশীদের করবেন সাহায্য। অন্য কারো ত্রাণের আশায় বসে না থেকে নিজের এ জমানো টাকা দিয়েই ৬০ জন প্রতিবেশীকে দিলেন চাল, আলু আর সাবান।

গত শনিবার (৪ এপ্রিল) রেজাউল নিজ হাতে তুলে দেন এসব ত্রাণ। ত্রাণের মধ্যে ছিল ৪ কেজি চাল, ১ কেজি আলু ও একটি সাবান। ত্রাণ পেয়ে খুশি পুরো কলোনির মানুষ। একজন ভিক্ষুক হয়ে প্রতিবেশীদের ত্রাণ বিতরণে এলাকায়ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, রেজাউলের গ্রামের বাড়ি রংপুরের লালমনিরহাট জেলায়। ৯ বছর আগে চট্টগ্রামে এসেছিলেন ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে। কিন্তু দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে পেটের দায়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হনয়। প্রতিবেশীদের মতে, রেজাউল দরিদ্র হলেও মনটা অনেক বড়।

শেয়ার করুন

ভিক্ষার টাকায় অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন পা হারানো রেজাউল

তারিখ : ০১:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. রেজাউল হক (৪০) পেশায় একজন ভিক্ষুক। দুর্ঘটনায় নিজের একটি পা হারানোর পর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলে তার সংসার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন নগরের বায়েজিদ বোস্তামীতে। চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউন শুরু হলে বাসা থেকে আর বের হতে পারেননি রেজাউল। থেমে যায় রোজগার।

জানা গেছে, যে কলোনিতে রেজাউল থাকেন সেখানকার সবাই পেশায় হয়তো রিকশাচালক, নয়তো দিনমজুর। সব বন্ধ থাকায় তাদেরও উপার্জন বন্ধ। তাদের ওখানে ক্রাণ না পৌঁছানোতে থাকতে হয় অনাহারে, অর্ধাহারে। প্রতিবেশীর এ কষ্ট সহ্য হয়নি রেজাউলের। গত কয়েক মাসে ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন ১২ হাজার টাকা। সিদ্ধান্ত নিলেন সে টাকা দিয়েই প্রতিবেশীদের করবেন সাহায্য। অন্য কারো ত্রাণের আশায় বসে না থেকে নিজের এ জমানো টাকা দিয়েই ৬০ জন প্রতিবেশীকে দিলেন চাল, আলু আর সাবান।

গত শনিবার (৪ এপ্রিল) রেজাউল নিজ হাতে তুলে দেন এসব ত্রাণ। ত্রাণের মধ্যে ছিল ৪ কেজি চাল, ১ কেজি আলু ও একটি সাবান। ত্রাণ পেয়ে খুশি পুরো কলোনির মানুষ। একজন ভিক্ষুক হয়ে প্রতিবেশীদের ত্রাণ বিতরণে এলাকায়ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, রেজাউলের গ্রামের বাড়ি রংপুরের লালমনিরহাট জেলায়। ৯ বছর আগে চট্টগ্রামে এসেছিলেন ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে। কিন্তু দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে পেটের দায়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হনয়। প্রতিবেশীদের মতে, রেজাউল দরিদ্র হলেও মনটা অনেক বড়।