লালমাই প্রতিনিধি ::
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের মৃত সুবাস চন্দ্র দাস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। মৃত্যুর ৫দিন পর বুধবার রাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম ইয়াসির আরাফাত। বৃহস্পতিবার সকালে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব ওই বাড়ীতে গিয়ে লক ডাউন প্রত্যাহার করেন। তবে পুলিশ বাড়ীটির ৪টি পরিবারের সদস্যদের আরো ৯দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনুরোধ করেছেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টায় উপসর্গ নিয়ে মারা যান সুভাস চন্দ্র দাস (৬৫)। খবর পেয়ে ওইদিন সকাল ১০টায় লালমাই উপজেলা প্রশাসন বাড়ীটি লক ডাউন করে দেন এবং মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করেন। মৃত্যুর আগে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসক, দুইজন নার্সিং অফিসার, একজন স্বাস্থ্য সহকারী এবং তার সৎকারে জড়িত ৪জন স্বেচ্ছাসেবকও ২৯ এপ্রিল রিপোর্ট আসা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় নাওড়ার মৃত সুভাস চন্দ্র দাসের বাড়ীর লক ডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ওই বাড়ীর সবাইকে নিরাপদে বাড়ীতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সন্দেহে লালমাই উপজেলার মোট ২৮জন ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে ২২ এপ্রিলের আগে নমুনা সংগ্রহ করা ১২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে লাকসামে করোনা পজিটিভ হওয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন এনায়েতের রুমমিট পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের ইয়াছিনেরও নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।