পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল আর নেই। মঙ্গলবার ভোরে, মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি মেয়ে সোহিনী পালের কাছে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা তাপস পাল। কিডনির চিকিত্সার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্টে যাওয়ার কথা ছিল তাপস পালের। কিন্তু বিমান ধরার আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অভিনেতাকে।
অবস্থার অবনতি ঘটলে এর পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। অনেক দিন ধরেই স্নায়ুজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্মেছিলেন তাপস পাল।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। পরিচালক তরুণ মজুমদারের হাত ধরে মাত্র ২২ বছর বয়সে বাংলা ছবির দুনিয়ায় পা রাখেন তাপস পাল।
প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তির’ সঙ্গেই দর্শক-সমালোচকদের মন জিতে নেন তিনি। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘উত্তরা’, ‘ভালোবাসা ভালোবসা’। ১৯৮১ সালে ‘সাহেব’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান তাপস পাল।
বাংলার পাশাপাশি বেশ কিছু হিন্দি ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন মাধুরী দিক্ষিতের সাথেও।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তাপস পাল। ২০১৯ পর্যন্ত কৃষ্ণনগরের সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে ‘রোজভ্যালি চিটফাণ্ড’র সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। ১৩ মাস সিবিআই হেফাজতে থাকার পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
পরিবার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকালে তাপস পালের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।