মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ায় আহমদিয়া মুসলিম জামাতের কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় দু’পক্ষ প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহরের কান্দিপাড়ায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, পুরো পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আহমদিয়াদের কান্দিপাড়ার উপসনালয়ে শিশু সংগঠন আতফালুল আহমদিয়ার উদোগে শিক্ষা মূলক পুরষ্কার বিতরনী ও দেয়া মাহফিল শুরু হয় সন্ধ্যায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন প্রবাসী আহমদিয়া নেতা ফিরোজ আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন এখতিয়ার উদ্দিন শুভ প্রমুখ। সভা শুরুর পর পর পূর্ব কান্দিপাড়ার বেশ কয়েকজন সেখানে হাজির হলে তাদের সাথে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় দু’পক্ষ ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে।
স্থানীয় আহমদিয়া নেতা এখতিয়ার উদ্দিন শুভ জানান, পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে হামলা চালায় স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। তাদের উপসানালয় ও বাড়ি ঘর সহ তাদের উপর হামলার দাবী করেন তিনি। আহতদের পরিচয় সমন্ধে তারা জানাতে পারেনি।
এদিকে, জামেয়া ইসলামিয়া ইউনিছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী জানান, স্থানীয় শিমরাইল কান্দি মসজিদ দখল করার জন্য লন্ডন থেকে আগত আহমদিয়া নেতার নেতৃত্বে একটি সভা চলছিল। হামলাকারীরা কান্দিপাড়া খতমে নবুওয়াত মসজিদটি দখল করার চেষ্টা করে। তারা স্থানীয় মুসল্লী ও মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ব্রাক্ষনবাড়িয়া জামেয়া ইউনিছিয়ার কিতাব বিভাগের ছাত্র সফিউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়। তিনি দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্রিত করে গ্রেফতার ও তাদের কাছে রাখা অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানান।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।