০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

ইভটিজিং’র অভিযোগে কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন

  • তারিখ : ০১:১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • / 267

পাবনা: ইভটিজিং-এর অভিযোগে পাবনার আটঘরিয়ায় অনিক হোসেন নামের (১১) বছরের এক কিশোর শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। এ অভিযোগে প্রধান নির্যাতনকারী কামাল হোসেন ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার দুপুরের দিকে আটঘরিয়া পৌরসভার উত্তরচক মহল্লার জাহানারা খাতুনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে অনিক হোসেনকে কৌশলে ডেকে নেয় নির্যাতনকারী পাশের গ্রামের কামাল হোসেন ভুঁইয়া। মেয়েকে ইভটিজিং-এর অভিযোগ এনে তিনি অনিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিজ বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে ৩/৪ জন মিলে নির্যাতন করেন। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে অনিককে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি স্থানীয়রা ভিডিও ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দিলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আটঘরিয়া থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে।

অনিকের মা জাহানারা খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে যে নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচার চাই আমি। ছেলে ভুল করতে পারে তার জন্য অভিভাবক আছে, আইন আছে। কিন্তু মধ্যযুগীয় কায়দায় ক্ষমতার প্রভাবে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে এমন বর্বরিচিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছে এলাকাবাসী।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জন্য অভিযান চলছে।

আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গতকাল শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন সে ভালো আছে। তবে শিশুদের এই ধরনের নির্যাতন করা ঠিক না। সামাজিক-পারিবারিক ভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এই ধরনের ঘটনা আমরা প্রত্যাশা করি না।

শেয়ার করুন

ইভটিজিং’র অভিযোগে কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন

তারিখ : ০১:১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

পাবনা: ইভটিজিং-এর অভিযোগে পাবনার আটঘরিয়ায় অনিক হোসেন নামের (১১) বছরের এক কিশোর শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। এ অভিযোগে প্রধান নির্যাতনকারী কামাল হোসেন ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার দুপুরের দিকে আটঘরিয়া পৌরসভার উত্তরচক মহল্লার জাহানারা খাতুনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে অনিক হোসেনকে কৌশলে ডেকে নেয় নির্যাতনকারী পাশের গ্রামের কামাল হোসেন ভুঁইয়া। মেয়েকে ইভটিজিং-এর অভিযোগ এনে তিনি অনিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিজ বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে ৩/৪ জন মিলে নির্যাতন করেন। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে অনিককে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি স্থানীয়রা ভিডিও ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দিলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আটঘরিয়া থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে।

অনিকের মা জাহানারা খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে যে নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচার চাই আমি। ছেলে ভুল করতে পারে তার জন্য অভিভাবক আছে, আইন আছে। কিন্তু মধ্যযুগীয় কায়দায় ক্ষমতার প্রভাবে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে এমন বর্বরিচিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছে এলাকাবাসী।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জন্য অভিযান চলছে।

আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গতকাল শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন সে ভালো আছে। তবে শিশুদের এই ধরনের নির্যাতন করা ঠিক না। সামাজিক-পারিবারিক ভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এই ধরনের ঘটনা আমরা প্রত্যাশা করি না।