০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ!

  • তারিখ : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 801

লাকসাম প্রতিনিধি : কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চার লেনে উন্নীত করার কাজ উদ্বোধন করা হয়। চলতি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও সড়কটির চার লেন উন্নীতকরণের সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই।

কুমিল্লা দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার লাখ লাখ যাত্রী আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম, ১৬ চাকার কনটেইনার মুভারসহ সব ধরনের যান চলাচল করে।

চার লেন কাজে ধীরগতি এবং যানজটের কারণে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। লাকসাম বাইপাস, চাঁদপুর রেলগেট, জংশন, মিশ্রি, হরিশ্চর, আলীশ্বর, বাগমারা, দক্ষিণ বাইপাস, ফতেপুর, বাটিয়াভিটা সড়কের মাঝখানেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের গর্তগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের লাকসাম অংশে হেলে-দুলে চলে বিভিন্ন পরিবহন। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত এতদিন চার লেনের কাজ শুরু না হওয়ায় যাত্রীদের বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে চার লেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত প্রায় দুই বছর টেন্ডার ঝুলে থাকে। দুই লেনের টেন্ডার হলেও কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। শহরের বাইপাস সড়কটি ৮৫/৯০ ভাগ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন পরিবহন দৌলতগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলছে। এতে বাজার সড়কের স্থায়িত্ব কমার পাশাপাশি বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর লাকসাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন জানান, লাকসাম থেকে লালমাই অংশের দুই লেনের টেন্ডার হয়েছে। সড়কে থাকা গর্তগুলো খুব সহসা ভরাট করে পরিবহন চলাচল উপযোগী করা হবে বলে তিনি জানান।

বিডি প্রতিদিন

শেয়ার করুন

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ!

তারিখ : ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

লাকসাম প্রতিনিধি : কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা-লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চার লেনে উন্নীত করার কাজ উদ্বোধন করা হয়। চলতি ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও সড়কটির চার লেন উন্নীতকরণের সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই।

কুমিল্লা দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার লাখ লাখ যাত্রী আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম, ১৬ চাকার কনটেইনার মুভারসহ সব ধরনের যান চলাচল করে।

চার লেন কাজে ধীরগতি এবং যানজটের কারণে আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম অংশে মহাদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। লাকসাম বাইপাস, চাঁদপুর রেলগেট, জংশন, মিশ্রি, হরিশ্চর, আলীশ্বর, বাগমারা, দক্ষিণ বাইপাস, ফতেপুর, বাটিয়াভিটা সড়কের মাঝখানেই সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের গর্তগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের লাকসাম অংশে হেলে-দুলে চলে বিভিন্ন পরিবহন। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

আঞ্চলিক এ মহাসড়কের লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত এতদিন চার লেনের কাজ শুরু না হওয়ায় যাত্রীদের বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে চার লেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত প্রায় দুই বছর টেন্ডার ঝুলে থাকে। দুই লেনের টেন্ডার হলেও কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। শহরের বাইপাস সড়কটি ৮৫/৯০ ভাগ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বিভিন্ন পরিবহন দৌলতগঞ্জ বাজারের উপর দিয়ে চলছে। এতে বাজার সড়কের স্থায়িত্ব কমার পাশাপাশি বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর লাকসাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন জানান, লাকসাম থেকে লালমাই অংশের দুই লেনের টেন্ডার হয়েছে। সড়কে থাকা গর্তগুলো খুব সহসা ভরাট করে পরিবহন চলাচল উপযোগী করা হবে বলে তিনি জানান।

বিডি প্রতিদিন