প্রেস বিজ্ঞপ্তি।।
কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির নাম লোগো ব্যবহার করে একটি মহল মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘ দিনের পুরনো সংগঠন কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এরই অংশ হিসেবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে দৈনিক রূপসী বাংলা পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি পূনর্গঠন সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। যা দেখে আমরা বিষ্মিত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। পদ-পদবী লোভী সংগঠনের ৩/৪ জন সদস্য এ ধরনের মিথ্যাচারে নেমেছে। আমরা এই ধরনের মিথ্যাচার সংবাদ ও কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস সাধারণ সভা আহ্বান করে গঠনতন্ত্রের আলোকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামত ও সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে দৈনিক রূপসী বাংলা পত্রিকা সহ দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ও যুগান্তর পত্রিকার আবুল খায়েরকে সভাপতি, মাই টিভির আবু মুসাকে সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির আজিজুল হককে সাাংগঠনিক সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠনের সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সংগঠনের ৩৭ জন সদস্যের মধ্যে ৩২জন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠন বিষয়ে সাংগঠনিক আলোচনায় আলোচকগণ ও উপস্থিত সকল সদস্যরা সাধারণ সভার সভাপতি ওমর ফারুকী তাপসকে নতুন কমিটি গঠন করে ঘোষনা করার ক্ষমতা অর্পন করেন। তিনি সভাপতি হিসেবে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির গঠনতন্ত্রের ১০এর (১) ধারা মোতাবেক (২০২২-২০২৪) দুবছরের জন্য নতুন কমিটির নাম ঘোষনা করেন। নতুন কমিটিতে কমিটিতে আবুল খায়েরকে সভাপতি,আবু মুসাকে সাধারণ সম্পাদক ও আজিজুল হক কে সাাংগঠনিক সম্পাদক করে নতুন ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী পরিষদ গঠন করেন।
সাধারণ সভায় উপস্থিত ৩২ জন সদস্যের মধ্যে ২৬জন সদস্য হাত তুলে ও করতালি দিয়ে ঘোষিত নতুন কমিটিকে সমর্থন জানায়।
ওই ঘোষিত কমিটিতে আনোয়ার হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুমন কবীর ভূইয়াকে সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছিল। এসময় আনোয়ার ও সুমন কবির ভূঁইয়া নিজেদের পদবীতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঘোষিত কমিটির প্রতি অসম্মতি জানিয়ে সাধারণ সভা থেকে আনোয়ার হোসেন, সুমন কবীর ভুইয়া তাদের সঙ্গীয় রফিকুল ইসলাম, জুয়েল খন্দকার ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে নিয়ে ওয়ার্ক আউট করে চলে যান।
সাধারণ সভা থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা তাদের নিজ ফেসবুকে ঘোষনা করেন, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির ঘোষিত কমিটি ও সদস্যপদ থেকে পদত্যগ করেছেন এবং এ সংগঠনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। ফেসবুকে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির নিয়ে তাদের এ মন্তব্য দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর ওই সাধারণ সভায় তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে আনোয়ার হোসেন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ থেকে সুমন কবিরের নাম বাদ দিয়ে ওই দুটি পদে রদবদল এনে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিটির কাছে ২০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস, সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জাকির। এসময় রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য ও কয়েকজন সাধারণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে সংগঠন থেকে পদত্যাগকারিরা ফেসবুকে তাদের ঘোষণার ছয় দিন পর কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির আরো ৪জন সদস্যকে যোগ করে মোট ৮জন মিলে এবং কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য না এমন সাংবাদিকদের নিয়ে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির নাম- লোগো ব্যবহার করে নতুন কমিটির ঘোষনা দেয়। যা মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বর্তমান লোগো সমন্বিত কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি এক ও অভিন্ন একটি সংগঠন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাধারণ সভার মাধ্যমে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিটি ঘোষণার পর যারা কাঙ্খিত পদ-পদবী না পেয়ে একই নাম ও লোগো ব্যবহার করে আরেকটি সংগঠন ও কমিটি ঘোষণা করেছেন তারা নিঃসন্দেহে সংগঠন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করেছেন। একই সঙ্গে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে মর্মে যে ধরনের প্রচারণা করছে,এটা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমরা আশা করব, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির নামে যারা এসব করছেন, তারা কুমিল্লার মিডিয়া অঙ্গন ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করে এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকবেন। আমরা এই ধরনের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
দেশের সেরা সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি আছে, থাকবে। কখনো বিলুপ্ত হবে না।