নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ইয়াছিন মার্কেট এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় জাতীয় বক্সিং দল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স স্পোটিং ক্লাবের খেলোয়ার মাসুদুর রহমান এবং তার মা জেসমিন আক্তার, বাবা আবু তাহের, ছোট ভাই আবু নওশেদ আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা মোসাঃ জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে গত ৪ মে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪/১২৫।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের আশ্রাফপুর এলাকার করিম আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোসা: জেসমিন আক্তারের স্বামী চাকুরীর সুবাধে ঢাকায় ও পড়াশোনার সুবাধে ছেলেরাও ঢাকায় অবস্থান করে। সে কারনে স্কুল শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার ইয়াছিন মার্কেট এলাকার বাড়িতে সব সময় একা অবস্থান করেন।
স্কুল শিক্ষিকার বাড়ির পিছনে পাশ্ববর্তী এলাকা উনাইসার গ্রামের মো: জাহাঙ্গীর আলমের একটি বাড়ি আছে। ওই বাড়িতে যাওয়ার বিভিন্ন পথ থাকলেও জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার স্কুল শিক্ষিকার বাড়ির আঙ্গিনার উপর দিয়ে দেয়াল টপকে চলাফেরা করে। দীর্ঘদিন থেকে তাদেরকে নিষেধ করা সত্বেও জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার নিষেধ অমান্য করে অবৈধভাবে রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাড়ির আঙ্গিনায় দেয়ালের উপর একটি টিন দিয়ে বহিরাগতদের চলাফেরা বন্ধ করে দেয়।
এরই জের ধরে গত ১ মে শুক্রবার রাতে পাশর্^বর্তী উনাইসার গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর গংরা স্কুল শিক্ষিকার বাড়ির উপরের ওই টিন ভেঙ্গে পেলে। ভাঙ্গার শব্দ শুনে বাদী সহ তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে দা-চেনী, লাঠি-সোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০/১৫ জনের একটি দল সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় স্কুল শিক্ষিকার ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় বক্সিং টিমের খেলোয়াড় এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড় মাসুদুর রহমান সহ পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে গুরতর আহত করে।
এ সময় স্কুল শিক্ষিকার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং শিক্ষিকার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন চিনিয়ে নেয়। এ সময় বাদীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করতে আসলে তারা স্কুল শিক্ষিকার পরিবারকে হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড ফাড়িঁর ইনচার্জ মো: আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।