০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় করোনা সংকটে প্রায় ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের পাশে নেই মালিকরা

  • তারিখ : ০৭:১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
  • / 494

dav

আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গুপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ উপজেলায় পরিবহন খাতে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার তার মধ্যে সিএনজি চালক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার, ইটভাটায় চলাচলরত ট্রাক্টরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার, বাসে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ও অন্যান্য পরিবহনে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা খোঁজ খবরও নিচ্ছেননা অনেক মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ অনাহারেও দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে।
রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইর-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে বাস শ্রমিক রয়েছে ৮ হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
তিশা পরিবহনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাজী মোবারক হোসেন বলেন, মুরাদনগর থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক তিশা বাস চলাচল করত করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিক নয়, পরিবহন মালিকরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এ পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাইনী। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় করোনা সংকটে প্রায় ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের পাশে নেই মালিকরা

তারিখ : ০৭:১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০

আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গুপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ উপজেলায় পরিবহন খাতে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার তার মধ্যে সিএনজি চালক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার, ইটভাটায় চলাচলরত ট্রাক্টরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার, বাসে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ও অন্যান্য পরিবহনে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা খোঁজ খবরও নিচ্ছেননা অনেক মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ অনাহারেও দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে।
রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইর-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে বাস শ্রমিক রয়েছে ৮ হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
তিশা পরিবহনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাজী মোবারক হোসেন বলেন, মুরাদনগর থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক তিশা বাস চলাচল করত করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিক নয়, পরিবহন মালিকরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এ পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাইনী। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।