কুমিল্লায় কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানছে না মানুষ

রকিবুল হাসান রকি :

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যেই কুমিল্লা মহানগর সহ বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। এ রকম পরিস্থিতিতেও অধিকাংশ মানুষের মাঝে সরকারি বিধি নিষেদ ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। চলমান প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না কুমিল্লার কোথাও। ঘর থেকে বের হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মুখে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এই নির্দেশনা অমান্য করা হলে অর্থাৎ মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হলে সর্বোচ্চ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

তবে সরকারের নির্দেশনা থাকার পরও সদর দক্ষিণ উপজেলায় আগের মতোই অনেকটা স্বাভাবিক চলাফেরা করছে জনসাধারণ। অনেকেই মুখে মাস্ক ছাড়াই বাইরে চলাফেরা করছেন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে। বাজারে কেনাকাটা করছেন একেবারে গাঁয়ে গাঁ ঘেঁষে যে যার মতো। অনেকেই আবার ঘুরছেন বাজারে কিংবা সড়কে। সাধারণ ছুটির পর জীবন ও জীবিকার তাগিদে সীমিত পরিসরে সবকিছু খুলে দেওয়ার পর থেকে এ অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মানুষ যেন করোনা ভুলতে বসেছেন।

উপজেলার সুয়াগাজী বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, কেউ কেউ মাস্ক পরলেও অনেকের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে কথা বলার সময় মাস্ক খুলে ফেলছেন। বাজারের কয়েকজন দোকানি বলেন, আমরা ক্রেতাদের দূরে দাঁড়াতে, মাস্ক পরতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলি। কিন্তু ক্রেতারা অসন্তোষের ভাব নিয়ে কোন কথাই শুনতে চান না।

বিশেষ করে সদর দক্ষিণের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার বিধি চরমভাবে লংঘন করতে দেখা যাচ্ছে। পদুয়ার বাজার, সুয়াগাজী বাজার, চৌয়ারা বাজার, লালমাই বাজার, বিজয়পুর বাজার, চৌয়ারা বাজার, পিপুলিয়া বাজার, কনেশতলা বাজার, একবালিয়া বাজার, বামিশা বাজার সহ বিভিন্ন সড়কে কনফেকশনারি, হোটেল রেস্তোঁরাসহ অন্যান্য দোকানপাট দিব্যি খোলা থাকছে। ওইসব ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের অর্ধ শার্টার খুলে দেদারছে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের লোকজন আসা মাত্রই দোকান বন্ধ করছেন। আবার তারা চলে যাওয়ার পর দোকান খুলে রাখছেন। তারা সরকারের স্বাস্থ্যবিধির ধার ধরছেন না।

এসব ব্যবসায়ীদের কারণে অধিক রাত পর্যন্ত অসংখ্যক মানুষ বাইরে চলাফেরা করছে। এ সব ব্যবসায়ীরা নিজেরাও বিধি মানছেন না, উল্টো অন্যদের অযথা বাইরে বের হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। ফলে উপজেলার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের চলাচল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সচেতন মহল উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিনের কাছে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরার বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ৫ হাজার মাস্ক, সাবান এবং হেন্ড সেনেটাইজার দেওয়া হবে। দেওয়ার পর যদি কেউ মাস্ক না পরে ঘোরা-ঘুরি করে,পরবর্তীতে আইন অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!