০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের ঘর ‘বিক্রি’ করেছেন ইউএনও!

  • তারিখ : ০৪:১৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / 562

মুজিববর্ষে গৃহহীনদের দেওয়া ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউএনও মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে বরগুনার আমতলী উপজেলায় ৩৫০টি গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঘরগুলো উপজেলার অসহায়, গৃহহীন ও দুস্থ ভূমিহীন পরিবারগুলোকে যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা।

উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া ১১০টি গৃহের মধ্যে উপজেলায় ওই প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান তার অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশার মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন।

তার অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতা বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশাকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পরে বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিনে তদন্ত করতে আমতলী আসেন। তারাও গুলিশাখালীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্মাণাধীন গৃহগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম ও নীতিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায়।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন জানান, ঘর বরাদ্দে অনিয়ম এবং ঘর নির্মাণ নিয়ে নীতিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানের শাস্তিমূলক বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অনিয়ম করলে প্রশাসনের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

 

কালের কণ্ঠ

শেয়ার করুন

ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের ঘর ‘বিক্রি’ করেছেন ইউএনও!

তারিখ : ০৪:১৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

মুজিববর্ষে গৃহহীনদের দেওয়া ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউএনও মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে বরগুনার আমতলী উপজেলায় ৩৫০টি গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঘরগুলো উপজেলার অসহায়, গৃহহীন ও দুস্থ ভূমিহীন পরিবারগুলোকে যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা।

উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া ১১০টি গৃহের মধ্যে উপজেলায় ওই প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান তার অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশার মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন।

তার অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতা বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশাকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে অফিস সহকারী এনামুল হক বাদশাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পরে বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিনে তদন্ত করতে আমতলী আসেন। তারাও গুলিশাখালীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্মাণাধীন গৃহগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম ও নীতিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায়।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন জানান, ঘর বরাদ্দে অনিয়ম এবং ঘর নির্মাণ নিয়ে নীতিমালাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানের শাস্তিমূলক বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অনিয়ম করলে প্রশাসনের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

 

কালের কণ্ঠ