সোহাগ মিয়াজী :
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার এক গৃহিনীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৪ টায় দাউদকান্দি উপজেলার ঠেটালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ২৩ নভেম্বর সোমবার ভিকটিম কানন মন্ডল বাদী হয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের নং-৩ আমলী আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামীরা হলো, একই গ্রামের শৈলেন মজুমদার (২৮), বিধান মজুমদার (৪০), বিনোদ মজুমদার (৬৫), সুজন মজুমদার (৩৮), অজয় মজুমদার (৩৫) সুজন মল্লিক (৪০)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৪টায় বাদিনী বাড়ির পাশে টয়লেটে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাদীনি আত্মরক্ষার্থে চিৎকার চেঁচামেচি করলে আসামীরা ধারালো অস্ত্রেও ভয় দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখালে প্রতিবেশিরা এসে বাধা দেয়। এরমধ্যে মামলার এক নাম্বার সাক্ষী শুধাংসু মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে পরবর্তীতে সকল আসামীরা একযোগে বাদীনিকে রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
এছাড়াও প্রতিবেশীদের মধ্যে বাধা দেওয়া আরও দুইজনকে মেরে রক্তাক্ত করে। ভিক্টিমসহ আহত সকলকে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (গৌরীপুর) জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশংকা জনক হলে দ্রুত তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানায়, আসামিরা নারী ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। এর আগে ও এই আসামীদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণ সহ বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে। তবে আইনের চোখকে ফাকিঁ দিয়ে তারা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।