প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় লাকসাম বাইপাস মোড়ে গণসংহতি আন্দোলন, লাকসাম শাখার উদ্যোগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সভা ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় পরিষদ সদস্য ও লাকসাম উপজেলা শাখার আহ্বায়ক জহির রায়হান।
গণসংহতি আন্দোলন লাকসাম উপজেলা সদস্য শাহজাহান শামীম এর সঞ্চালনায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন লাকসাম শাখার সদস্য সচিব শ্রমিক নেতা ফাহাদুল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন – দফায় দফায় গ্যাস বিদ্যুৎ ও ভোজ্য তেল সহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারনে রিকশা চালক সহ সকল সাধারন মানুষ এক মানবেতর জীবন যাপন করছে। পূর্বে গ্যাসের বিল দেওয়া লাগতো এক চুলা বাবদ ৯২৫ টাকা আর দু চুলা বাবদ ৯৭৫ টাকা কিছুদিন আগে তিতাস গ্যাস প্রস্তাব করেছে এক চুলায় ১০৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা ও দুই চুলা বাবদ ৯৭৫ টাকা থেকে ১১২৫ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা। যা কেবল অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিই নয় সাধারন মানুষের উপর অর্থনৈতিক নির্যাতনও বলা যেতে পারে। যখন ডিজেল ও বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ায় তখনই আমরা বলেছিলাম ডিজেল ও বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে যা সাধারন মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব করে ছাড়বে। আজ দু মাস পরে এসে মানুষ বর্তমানে সেই পরিস্থিতির দিকেই ধাবিত হচ্ছে। একদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন অন্য দিকে মূল্য বৃদ্ধি সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ছে। এই থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সাধারন মানুষের বাচার তাগিদে দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করতে হবে। গণসংহতি আন্দোলন তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সেই লড়াই জারি রেখেছে। সেই লড়াই এ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন – দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, অবৈধ প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে রিকশা শ্রমিকসহ সাধারন মানুষের পকেট কাটার রাজনীতি চলছে। নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের পেটে লাথি দেওয়ার অপরাজনীতিই এখন রাজনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনতিবিলম্বে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সহ ডিজিটাল আইনসহ সকল গণবিরোধী আইন বাতিল করে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গণমানুষের গণমুখী রাজনীতি দাঁড় করানোই এই মূহুর্তের প্রধান দাবি।
সাংবিধানিক স্বৈরতান্ত্রিকতাই আজকের শাসকদের স্বৈরতান্ত্রিক করে তুলেছে। যেখানে গণমানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকারকে হত্যা করা হচ্ছে।
গণসংহতি আন্দোলন তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে গণমানুষের ভোট ডাকাতির বিপক্ষে ভোটাধিকার রক্ষা ও রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোর বিপরীতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তর এর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই লড়াই মানুষের পক্ষেই ফলাফল নির্ধারন করবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। দল, মত, ধর্ম,বর্ণ, নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই লড়াইয়ে সকলকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও উপস্থিত থেকে সংহতি বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার্স সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন লাকসাম উপজেলার নেতা কর্মীগণ।